সোমবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ ইং, ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বং।
স্পোর্টস ডেস্ক: ১১ বছর পর মিরপুর শের-ই-বাংলায় মাঠে নেমে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারেনি বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে যায় ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
মঙ্গলবার দুই দল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে। ম্যাচটা জিতলেই সিরিজ জিতে যাবে ভারত। বাংলাদেশ হারলেই সিরিজ হারাবে। জিতলে আসবে সমতা। প্রথম ম্যাচের হতাশা ভুলে সিরিজ বাঁচানোর চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের। সে লক্ষ্যে মিরপুরে আজ নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন ক্রিকেটাররা। টানা তিন ঘণ্টার অনুশীলনে ব্যাটিং-বোলিংয়ে আরও সিরিয়াস তারা।
লম্বা সময় পর মিরপুরে মাঠে নেমে স্বাগতিকদের ব্যাটিং-বোলিং কিছুই ভালো হয়নি। ভালো শুরু পেলেও আক্রমণের ধার ধরে রাখতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। স্ট্রাইক রোটেট হয়নি। আসেনি বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি। বোলিংয়েও তাই। আঁটসাঁট বোলিংয়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা রান তুলেছেন অনায়েসে। দুই বিভাগ একসঙ্গে খারাপ করায় প্রথম ম্যাচে তেমন কিছুই করতে পারেনি বাংলাদেশ।
স্বাগতিক অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্েযাতি প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো পুনরাবৃত্তি করতে চান না, ‘আমার কাছে মনে হয় স্কিল তো আছে (দলের ক্রিকেটারদের)। স্কিলফুল তারা। অবশ্যই পটেনশিয়াল আছে। তাই তো জাতীয় দলে তারা খেলছে অনেকদিন ধরে। আমার কাছে মনে হয়, এই জায়গা থেকে বের হয়ে আসতে ব্যক্তিগতভাবে খেলোয়াড়দের এগিয়ে আসতে হবে। যখন একটা খেলোয়াড় ভালো একটা স্টার্ট পায়, সে কেন ২৫ এর পরে আউট হবে। তাকে ইনিংসটা অবশ্যই ক্যারি করতে হবে। শট সিলেকশনের প্রতি আরেকটু চিন্তা ভাবনা করতে হবে। পরিস্থিতি কী ডিমান্ড করতেছে। এটা যদি একটু ওভারকাম করতে পারিৃ.স্কিল থাকলে কেন পারফরম্যান্স হবে না। এটা আমাদের সবারই প্রশ্ন। যত দ্রুত ক্যামব্যাক করা যায়, তত দ্রুত ভালো হবে। সিরিজ যেন ওদেরকে না দেই, সেটাই আমাদের উদ্দেশ্য।’
সবার থেকে আরও ভালো ও পেশাদারিত্ব দেখার অপেক্ষায় জ্েযাতি, ‘যখন আপনি জাতীয় দলের জার্সি পড়ে মাঠে নামবেন, তখন আপনি অবশ্যই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তাই আপনাকে নামানো হচ্ছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছি। হয়তো বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতেছি না। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতেছি। আমাদের ওই পরিস্থিতিতে কী করতে হবে সেটা বারবার কোচিং স্টাফরা অনুশীলন করাচ্ছেন। তাহলে কেন হবে না? আমি সবার থেকেই ভালো পারফরম্যান্সের প্রত্যাশায় আছি। সবাই মিলে ভালো করলেই ভালো ফল আসবে।’
প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ কেবল ১১৪ রানে আটকে যায়। আগে ব্যাটিং করলে বাংলাদেশের অন্তত ১৪০ রান করার লক্ষ্য। যদি এই রান করতে পারে তাহলে বোলিংয়ে ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানানো সম্ভব বলে মনে করেন জ্েযাতি, ‘মিডল অর্ডারে বেশি বল ডট হয়ে গেছে। উইকেট কিন্তু একটু লো স্লো ছিল। টার্নও যেহেতু ছিল। অ্যাটলিস্ট ১৪০ যদি করতে পারি তাহলে ভালো হতো।’