শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: হাট ভরা গরু। কোরবানির শেষ মুহুর্তে পশু হাটগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। কোরবানিযোগ্য পশুর পরিমানও এবার বেশি। তবু দাম কমছে না। চড়া দাম হাকানো হচ্ছে। দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে হতাশা থাকলেও এর মাঝেই চলছে কেনাবেচা।
রাজশাহীতে শেষ মুহূর্তে ভিড় বেড়েছে পশুর হাটে। কিন্তু কমছে না কোরবানির পশুর দাম। কোরবানির দিন যতোই কাছে আসছে ততোই যেন বাড়ছে গরুর দাম বাড়ছে। হাটগুলোতে দেশি গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। দেশিজাতের মাঝারি সাইজের গরুই ক্রেতাদের চাহিদা সবচেয়ে উপরে।
আজ থেকে শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। কয়েকদিন আগে থেকেই গরুর হাটগুলো জমে উঠেছে। কোরবানির পশু কিনতে এখন হাটে ছুটছেন সবাই। রাজশাহী মহানগরীসহ জেলা পশুহাটগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। তবে হাটে উপস্থিত ক্রেতাদের অনেকেই দাম নিয়ে হতাশায় পড়েছেন। কিন্তু কোরবানি বলে কথা। তাই দাম চড়া থাকলেও বেচাকেনা জমে উঠেছে।
রাজশাহী বৃহত্তম সিটিহাট, বানেশ^র, তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা হাট ঘুরে দেখা গেছে, সময় ঘনিয়ে আসায় এই পশুর হাটে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। হাটগুলোতে দেশি গরুতে ভরে উঠেছে।
তবে, হাটভরা গরু থাকলেও দামের চিত্র উল্টো। শেষের দিকে দাম কমতে পারে এমন আশা নিয়ে যারা আছে সেসব ক্রেতা শেষ সময় হাটে এসে হতাশায় পড়েছেন। এরমাঝেই চলছে কেনাবেচা। হাটে ছোট গরুর দাম সবচেয়ে বেশি। ৭০ থেকে ১০০ কেজি ওজনের গরুগুলোর কেনাবেচা হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকায়। ১০০ থেকে ১৪০ কেজি ওজনের গরুগুলো বিক্রি হচ্ছে এক লাখ থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকার ভেতরে। বড় সাইজের গরু ১৮০ থেকে ৩০০ কেজি ওজনের গরু বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে আড়াই লাখ পর্যন্ত।
গরু কিনতে অনেকে গরু কিনতে হাটে আসলেও দাম বেশি থাকায় দরদাম করে আজও বাড়ি ফিরছেন। তাদের আশা শনিবার শেষে দিনে কোরবানির পশুর দাম কমে যাবে। তখন সাধ্যের মধ্যে গরু পাওয়া যাবে।
রাজশাহীর পবা উপজেলার বাগধানী এলাকার খামারী আফজাল হোসেন জানান, কয়েক কোরবানি ঈদের মতো এবারও দেশি জাতের গরুর চাহিদা বেশি রয়েছে। আর দেশি গরুর কোনো সংকটও নেই। তিনিও এবার তার খামারে ৩টি গরু পালন করেছেন। তিনি হাটে না নিয়ে বাড়িতেই কেনাবেচা সেরেছেন।
গতবারের তুলনায় দাম একটু বেশি। কারণ হিসেবে আফজাল হোসেন উল্লেখ করেন, দিনে দিনে সব জিনিসের দাম বাড়ছে। গো খাদ্যের দাম ব্যাপক বেড়েছে। তাই খামারে গবাদি পশু লালন-পালনের ব্যয় বেড়েছে। ব্যায়ের সঙ্গে লাভ যুক্ত করে বিক্রি দাম ধরা হচ্ছে।
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মাসুদ রানা জানান, উৎপাদন খরচ বাড়িত্তে। তাই গরুর দামও বাড়িত্তে। ক্রেতারা হাট আসি দাম শুনি অবাক হত্তি। কিন্তু আমরা যারা গরু উৎপাদন করিত্তি তারা বুঝিচ্ছি যে খরচ কতো হত্তে।
হাটগুলোতে বলদ, বকনা ও ষাঁড় এর মধ্যে চাহিদার শীর্ষে ষাঁড়। তাই ষাঁড়ের দাম অন্যগুলোর তুলনায় কিছুটা বেশি। অন্যদিকে হাটগুলোতে ছাগলের দাম সহনিয় পর্যায়ে আছে। ২০ কেজি মাংস হবে এমন ছাগল মিলছে ১৮ হাজার টাকার মধ্যে। ১৫ কেজি ওজনের ছাগল মিলছে ১৩ হাজার টাকার মধ্যে। তবে, বড় ছাগলের দাম তুলনামুলক বেশি। মাংসের পাশাপাশি সৌখিনতার বিষয়টি চলে আসে দামে। ৩০ থেকে ৫০ কেজি ওজনের ছাগলের সংখ্যা হাটে কম। তবে আকারভেদে এদের দাম হাঁকানো হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।