বাঘায় নেশাখোর স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে গৃহবধুর আত্নহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার বাঘা  :

রাজশাহীর বাঘায় নেশাখর স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে তার স্ত্রী আত্নহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৬ জুন) সকাল ১১ টায় বাঘা পৌরসভার উত্তর গাওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা স্বামী আবুল কালামের বাড়ির রান্নাঘর থেকে তার স্ত্রীর মেরিনা খাতুনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে মেরিনা খাতুনের পিতা আসলাম আলী বলেন, মেরিনা খাতুনের সামাজিক ভাবে ১৩ বছর আগে বাঘা পৌরসভার উত্তর গাওপাড়া গ্রামের রাহাত আলীর ছেলে আবুল কালামের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্ত জীবন সুখের হলেও পাঁচ বছর পর থেকে জামাই মাদক সেবনের সাথে জড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে কারনে অকারনে মেয়েকে নির্যাতন করতেন তার জামাই। অনেক সময় নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মেয়ে মাঝে মধ্যে আমার কাছে চলে আসতো। এরপর বুঝিয়ে- আবার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দিতাম। মেরিনা খাতুনের বাবার বাড়ি বাউসা ইউনিয়নের হরিনা গ্রামে। তার এক মাত্র ছেলে রিমন আলী তিন বছর আগে পানিতে ডুবে মারা যায় বলেও উল্লেখ করেন তার পিতা।

 

এদিকে মেরিনা খাতুনের মা’ সালেহা বেগম অভিযোগ করে বলেন, জামাই আবুল কালাম একজন নেশাগ্রস্থ ছেলে। বিয়ের পর থেকে মেয়েকে কোন শান্তি দেয়নি। সব সময় অত্যাচার করেছে। মেয়েকে হত্যা করে রান্নাঘরের তীরের সাথে সেই ঝুলিয়ে রেখে আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি এর বিচার চাই।

 

তবে মেরিনার স্বামী আবুল কালাম দাবি করেছেন, আমাদের একমাত্র সন্তান বছর তিনেক আগে পানিতে ডুবে মারা যায়। তারপর থেকে আমার স্ত্রী মানষিক ভারসাম্যহীনের মতো হয়ে যায়। আমি সোমবার সকালে বাড়ির বাইরে যায়। আমার অনুপস্থিতিতে রান্নাঘরের তীরের সাথে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে।

 

বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রান্নাঘর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করি। এরপর ময়না তদন্তের জন্য লাশ রামেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এই ঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওসি।

সানশাইন / শামি

 


প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৩ | সময়: ১০:২৩ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine