মঙ্গলবার, ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার:
রাজশাহী পবা উপজেলার নওহাটা ছাগলের হাটে নির্ধারিত ফ্রি এর চেয়ে বেশী দামে ছাগলের ছাড়পত্র নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে ছাগল ক্রয় করতে যাওয়া ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও বেআইনি ভাবে টাকা নেওয়ার বিচার দাবি করছেন ক্রেতারা।
রাজশাহীর শহর সংলগ্ন এই ছাগলের হাটটিতে অধিকাংশ ক্রেতা শহরের মানুষজন। কোরবানি সামনে রেখে বৃহস্পতিবার ও সোমবার এই হাটিটি এখন জমজমাট হয়ে উঠেছে। এই সুযোগে হাটের ইজারাদার বেশী মূল্যে টাকা আদায় করে নিচ্ছে। ক্রেতাদের অভিযোগ অন্যান্য পশুর হাট গুলোতে ছাগলের ছাড়পত্র সর্বো”চ ৫০০ টাকা নিচ্ছে । কিন্তুু এই হাটে ৭৫০ টাকা আদায় করছে যা মানুষের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
রাজশাহী মহানগরীর ষষ্টীতলা এলাকার ছাগল ক্রেতা সুমন জানান, আমি নওহাটা ছাগলের হাটে কোরবানির জন্য একটি ছাগল ক্রয় করেছি। হাটে ছাড়পত্র করতে গেলে ৭৫০ টাকা আদায় করেছে। এতো বেশী আদায় ছাগলের ছাড়পত্র হয়না বলে তিনি দাবি করেন।
একই রকম অভিযোগ তুলে নগরীর গোরহাঙ্গা এলাকার তসলিম ও সাগরপাড় বটতলা এলাকার জাবেদ বলেন, হাটটিতে ইজারাদার ঈদকে পুঁজি করে মাত্রারিক্ত ছাড়পত্রে টাকা আদায় করছে। ছাগলের একটি ছাড়পত্রে ৭৫০ টাকা আর কোন হাটে আছে কিনা আমাদের জানা নেই। নিয়ম বর্হিরভূত ভাবে এমন আদায়ে ইজারাদারের শাস্তি দাবি জানান তারা।
হাটের ইজারাদার আব্দুল মাজেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,হাটে কত টাকা করে ছাড়পত্রে আদায় করানিচ্ছে তা আমি জানিনা। কাল হাটে গিয়ে জানতে পারবো বলে দ্রুত ফোনটি কেটে দেন।
এই বিষয়ে নওহাটা পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ছাগলের হাটে ছাড়পত্র নেওয়ার রেট কতটাকা নির্ধারণ করা আছে সেটি আমার জানা নেই। তবে সরকারি মূল্য অনুযায়ী টাকা নিলেতো আর ইজারাদারের চলেনা। মিটিং করে পারিপাশ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে একটি রেট নির্ধারণ করা হয়। আমার ওই মিটিং এ যাওয়া হয়নি তাই বলতে পারবেন না বলে জানান। তবে তিনি বলেন প্রকৃতপক্ষে বেশী টাকা আদায় করলে ইজারদারকে নিষেধ করা হবে বলে জানান।
এই বিষয়ে রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আনিসুল ইসলাম বলেন, এই বিষয়টি আমাদের জানা নেই আমি পবা ইউএনওকে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিতে বলে দিচ্ছি বলে জানান।
সানশাইন/সোহরাব