বৃহস্পতিবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পুনরায় নির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, সামনে যে অপশক্তিই আসুক না কেন, আমরা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যেমন হয়ে এক কাজ করে বিজয় অর্জন করেছি, ঠিক একিভাবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে যারা ভুণ্ডল করতে চায়, নষ্ট করতে চায়, সেই অপশক্তিকে মোকাবেলা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন করবে ইনশাল্লাহ।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে দেশের মানুষের কল্যান করতে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ।
রাসিক মেয়র লিটন বলেন, আওয়ামী লীগের শক্তি হচ্ছে জনতা। জনতাই আওয়ামী লীগকে বারবার বাঁচিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনতা দেশের স্বাধীনতা এনেছে এবং রক্ষা করেছে। জনতাই বাংলাদেশকে যেকোন পরাশক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ^াস করেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমাদের একমাত্র ঠিকানা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আওয়ামী লীগে কেউ অপরিহার্য নয়।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগ আসে পোশাকশিল্প খাত থেকে। সেই খাতকে ধ্বংস করে যেকোন মূল্যে ক্ষমতায় আসতে চায় বিএনপি-জামায়াত। এরা কখনো দেশপ্রেমিক হতে পারে? এদের চৌদ্দপুরুষ এক সময় মুসলীগ লীগ করেছে, তার আগে ব্রিটিশের দালালী করেছে, পাকিস্তানের দালালী করেছে, এরা কখনো দেশের ভালো চায় না, দেশের ভালো করেনি এবং এদের যে রক্ত প্রবাহিত, সেই রক্ত এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ নামক দেশটিকে তারা মেনে নিতে পারে না। তারা এখানেই বাস করে, এখানে উৎপাদিত ফসল থেকে খায়, তারপরও দেশটাকে তাদের আপন মনে হয় না।
রাসিক নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী করায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমি শুধু আপনাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেষ করতে চাই না, আমি আপনাদের প্রতি ঋণী থাকতে চাই। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন, আমরা রাজশাহীকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
সভার প্রধান বক্তা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা এনেছেন। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, সামনে নির্বাচন, নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা প্রতিনিয়তই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কথা শুনছি, আমরা ভীতু নয়, সাহস অর্জন করছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কোন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবেন না। কারো চোখ রাঙানীকে তিনি ভয় করেন না।
রাসিক নির্বাচনে নৌকার বিজয় প্রসঙ্গে প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক বলেন, রাজশাহীতে মেয়র নির্বাচনে আমরা এক ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছি। এজন্য আমরা আনন্দিত। নির্বাচনে ভোট চাওয়ার সময় বলেছিলাম খায়রুজ্জামান লিটনের বিজয় মানে রাজশাহীবাসীর বিজয়। খায়রুজ্জামান লিটন যখন জিতে যায়, তখন জিতে যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। খায়রুজ্জামান লিটন যখন জিতে যায়, তখন জিতে যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খায়রুজ্জামান লিটন যখন জিতে যায়, তখন জিতে যায় উত্তরাঞ্চলের মানুষ।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি ডাঃ তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, দপ্তর সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কামারউল্লাহ সরকার কামাল, কোষাধ্যক্ষ হাবিবুল্লাহ ডলার, সদস্য জহির উদ্দিন তেতু, নজরুল ইসলাম তোতা, শাহাব উদ্দিন, হাফিজুর রহমান বাবু, আব্দুস সালাম, ইসমাইল হোসেন, ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, খায়রুল বাশার শাহীন, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, বোয়ালিয়া (পশ্চিম) থানার সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, মতিহার থানার সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ সহ নেতৃবৃন্দ।