বুধবার, ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
মামুন রশিদ : রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে একচেটিয়া বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের জয়ের পর আরো উজ্জীবিত এখন রাজশাহী আওয়ামী লীগ।
জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটির নির্বাচনে লিটনের জয়ের পর এ অঞ্চলের আওয়ামী লীগ আরো ঐক্যবদ্ধ হলো। লিটনের বিপুল জয়ের নেপথ্যে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ ছাড়াও রাজশাহীর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবীরা এক যোগে ভোটের মাঠে শুরু থেকেই সোচ্চার থাকাও জয়ের পেছনে অন্যতম কারন। এছাড়া বিগত ৫ বছরের বহুমাত্রিক দৃশ্যমান উন্নয়নের কারণে নগরবাসী তার ওপরই আস্থা রেখেছিলেন।
এছাড়া শুরু থেকে মানুষের কাছে উন্নয়নের বার্তা পৌছে দেয়া, তরুন ও নারী ভোটারদের সম্পৃক্ততা ও আস্থা অর্জনের কারণে প্রায় দেড় লাখ বেশী ভোটে জয়লাভ করেছেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। শুরু থেকেই মাঠে সক্রিয় থেকে উন্নয়নের বার্তা পৌছে দেওয়ার কারনে লিটনের সফলতা অর্জিত হয়েছে বলে মনে করছেন নগরবাসী। এছাড়া রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, পারিবারিক ঐতিহ্যের উজ্জল দৃষ্টান্ত সফলতা এনে দিয়েছে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে। মুলত এবার রাজশাহী নগরবাসী প্রার্থী বেছে নিতে ভুল করে নি। একযোগে চলমান উন্নয়নের প্রত্যাশায় খায়রুজ্জামান লিটনকে ভোট দিয়েছে স্বত:ষ্ফুর্তভাবে।
রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, মানুষ উন্নয়নের পক্ষে থাকতে চায়। রাজশাহীবাসীও তাই চেয়েছে এবং যোগ্য প্রার্থী হিসেবে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে ভোট ঢেলে দিয়েছে। লিটনের অতিত উন্নয়নের কারনে মানুষ আবার তাকেই চেয়েছে। একবার (২০১৩ সালে) রাজশাহীবাসী ভুল বুঝলেও ২০১৮ সালের পর আর ভুল করেনি।
বাদশা বলেন, এবারের নির্বাচনে রাজশাহীর মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে উন্নয়নের পক্ষে স্বত:ষ্ফুর্তভাবে রায় দিয়েছে। তিনি বলেন, গত ৫ বছরে মেয়র থাকা কালীন রাজশাহীর দৃশ্যমান উন্নঢন হয়েছে। রাজশাহী নগর বদলে গেছে। এ কারণে মানুষ উন্নয়নের পক্ষে স্বত:ষ্ফুর্ত রায় দিয়েছে লিটনকে। লিটনের এ জয় আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নে বদলে দিয়েছিলেন রাজশাহী মহানগরী। এরপর ২০১৮ সালের নির্র্বাচনে জয়ি হয়ে পুরো রাজশাহীর চেহারা বদলে দিয়েছেন লিটন। কল্পনা নয়, রাজশাহীর উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়েছে। তাই উন্নয়নের স্বপ্নদ্রস্টা লিটনকেই বেছে নিয়েছেন নগরবাসী।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু বলেন, খায়রুজ্জামান লিটন নগর উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেন। এটি প্রমানিত হয়েছে। মানুষও উন্নয়ন চায়, মানুষের কাছে লিটনের সে উন্নয়ন বার্তা পৌছে দেওয়া হয়েছে। মানুষ বুঝতে পেরেছে। তাই সম্মিলিতভাবে নৌকার পক্ষে ভোট দিয়েছে। তিনি বলেন, দলের নেতাকর্মী ছাড়াও রাজশাহীর সর্বস্তরের মানুষ এবার শুরু থেকেই লিটনের পক্ষে, উন্নয়নের পক্ষে অওয়াজ তুলেছিলেন। এ কারনে সাধারণ মানুষও উন্নয়নের পক্ষে থেকেই মাঠে কাজ করেছেন। তারা বিপুল ভোট দিয়েছেন লিটনকে। এর পেছনে আওয়ামী লীগের ঐক্যবদ্ধ থাকাটাও লিটনের জয়ের একটা কারন বলে মনে করেন এ নেতা।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, খায়রুজ্জামান লিটন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। লিটনের বাবা এএইচএম কামারুজ্জামান জাতীয় নেতা ছিলেন। লিটনের ব্যক্তি ইমেজ রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য। রাজশাহীর উন্নয়নে প্রমানিত মুখ লিটন।
রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, রাজনীতিতে অবদান, পারিবারিক ঐতিহ্যের উজ্জল দৃষ্টান্ত সফলতা এনে দিয়েছে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে। তিনি মনে করেন, রাজশাহী নগরবাসী ভুল করে না। তাই এবার যোগ্য নগরপিতাকেই বেছে নিয়েছেন।