মঙ্গলবার, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীতে লিচু বাগানে হামলা, চাঁদা দাবি, লিচু ব্যবসায়ীর নিকট থেকে লিচু বিক্রির ৫ লাখ টাকা ছিনতাই ও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে পুলিশী হয়রানী করার অভিযোগে কৃষক নেতা সিদ্দিকুর রহমান ময়েজের শাস্ত দাবি করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ¯’ানীয় কৃষক ও লিচু ব্যবসায়ীরা। সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও ঈশ্বরদীর জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত গণি সরদারের ছেলে।
গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর বটতলায় এসব কর্মসূচী পালনের সময় সিদ্দিকুর রহমান ময়েজের শাস্তি দাবি করে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে কৃষকরা। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্ত লিচু ব্যবসায়ী আসাদুল প্রামানিক ও কৃষক তফেজ্জল সরদার।
এসময় এসব অভিযোগে ঈশ্বরদী থানায় দায়ের করা লিখিত এজাহার এবং লিখিত বক্তব্যে ব্যবসায়ী আসাদুল প্রামানিক অভিযোগ করে বলেন, আমি চলতি মৌসুমে আমার গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন মফে গং এর কাছ থেকে এক বিঘা জমির উপর ১৩টি লিচুর গাছ ক্রয় করে রক্ষনাবেক্ষণ শুরু করি। এরমধ্যে লিচু বিক্রির সময় হলে হঠাৎ একদিন খুব সকালে কথিত কৃষক নেতা সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ ওরফে লাদেন আমার ক্রয়কৃত লিচু বাগানে গিয়ে বাগানটির মালিকানা দাবি করে দেড় লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় লিচু না ভাঙার জন্য শাষিয়ে যায়।
এরপর গত ২২ মে সকাল ৯টা দিকে আবারও ময়েজসহ তার জামাই রানা (৩৫), ছেলে রিংকু (২৮), পূর্ণ (২৩), ভাই মনির সরদার (৪৫), সঈদ সরদার (৫৫) সহ অজ্ঞাত নামা আরও ৪-৫ জন বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমি বাগানে থাকা অবস্থায় আমার উপর হামলা করে মারধর করে। পরবর্তীতে আমার লোকজন ও এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে ময়েজ আমাকে দলীয় এবং প্রশাসনিক বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়।
সবশেষ গত শনিবার দুপুরে বাঘইলে আমার অন্য একটি লিচু বাগানে আমি লিচু ভাঙার কাজ শেষ করে ফেরার সময় আমার উপর ময়েজ এর জামাই সন্ত্রাসী রানা, পিতা- মৃদ রইজ সরদার, সাং বাঘইল মল্লিক পাড়া, থানা ঈশ্বরদী, জেলা, পাবনাসহ উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা হাতুরীসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে আবারও হামলা করে আমাকে মারধর করে জখম করে। সে সময় আমার কাছে থাকা লিচু বিক্রির প্রায় ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। সে সময় স্থানীয় এলাকাবাসী এগিয়ে আসায় প্রাণে রক্ষা পায়।
এবিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। যা তদন্ত করছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। ময়েজ ও তার সন্ত্রাসী জামাই রানা কর্তৃক বড় ধরণের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান কৃষক আসাদুল প্রামানিক।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন কৃষক তফেজ্জল সরদার, মুরাদ আলী প্রামানিক, মকলেছ প্রামানিক, আব্দুল ওয়াহাব, আসাদুল প্রামানিক, তামিমুল ইসলাম রিংকু, জহুরুল প্রামানিক, আজিজল প্রামানিক, আকমল আলী প্রামানিক, ইজারুল ফকির, শহীদুল শেখ, সিরাজুল ইসলাম।
অভিযুক্ত কৃষক নেতা বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ থানায় দায়ের করা অভিযোগ ও মানবন্ধনে করা অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে বলেন, এসব ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই।