শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: তৃতীয় কাতার অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দিতে দেশটির রাজধানী দোহার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাসস জানিয়েছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইটে সোমবার বিকাল ৩টা ১৩ মিনিটে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সেনাপ্রধান, বিমানবাহিনী প্রধান, নৌবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিম জানান, কাতারের হাম্মাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় ফ্লাইটির অবতরণের কথা রয়েছে। ২৩ থেকে ২৫ মে ওই ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সেখানে অংশ নেবে।
বাসস জানিয়েছে, ২৩ মে ‘থার্ড কাতার ইকোনোমিক ফোরাম: আ নিউ গ্লোবাল গ্রোথ স্টোরি’ এর উদ্বোধনী সেশনে অংশ নেবেন প্রধানম্ন্ত্রী। এরপর দোহায় কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন। কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি এবং সৌদি আরবের বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ এ আল-ফালিহের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠকও করবেন।
২৪ মে কাতার ফোরামের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। এরপর কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন। সেইসঙ্গে কাতারের বিশেষায়িত স্কুল আওসাজ অ্যাকাডেমি পরিদর্শন করবেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান। পরদিন ২৫ মে সকালে দেশের উদ্দেশে তার রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।
কাতার অর্থনৈতিক ফোরামের লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী ব্যবসা ও বিনিয়োগ। ফোরামের মূল উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী চলমান বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকটের ফলে উদ্ভূত বিরূপ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছিলেন, ব্লুমবার্গের সহায়তায় আয়োজিত এই ফোরামে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, মন্ত্রীবর্গ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদগণসহ প্রযুক্তি, অর্থ ও ব্যবসা খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। “এই ফোরামের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী চলমান বহুমুখী চ্যালেঞ্জ ও সংকট এবং তা থেকে উদ্ভূত বিরূপ অর্থনৈতিক প্রতিক্রিয়া মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজে বের করা।”