সর্বশেষ সংবাদ :

তানোর উপজেলায় শ্রেষ্ঠ মুন্ডুমালা মহিলা ডিগ্রি কলেজ

তানোর প্রতিনিধি : 
শিক্ষার মান উন্নয়ন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা পরীক্ষার ফলাফল উপস্থিতি শতকরা হার স্কাউট/গার্ল নেতৃত্বদানের ক্ষমতা ও সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন সহ আরো বেশ কয়েকটি বিষয়ে রাজশাহীর তানোর উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপাধী পেলো মুন্ডুমালা মহিলা ডিগ্রি কলেজ।

 

 

দক্ষতা ও সঠিক ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অবদান রাখায় উপজেলায় স্কুল কলেজ ও মাদরাসাসহ প্রায় ২০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের তালিকায় ১ম স্থান/শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হয়েছেন শ্রেষ্ঠ উপাধি পাওয়া একই কলেজের অধ্যক্ষ মো: শহীদুল হক এছাড়াও একই কলেজের একাদশ শ্রেনীর বিজ্ঞান বিভাগের শিউলি খাতুন নামের এক শিক্ষার্থীও উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

 

গত ১৬ মে তানোর উপজেলায় হলরুমে আয়েজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে এই তিনটি শ্রেষ্ঠ উপাধী অর্জন করেন প্রতিষ্ঠানটি। এতে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমি শিক্ষা অফিসার মো: সিদ্দিকুর রহমান।

 

উপজেলায় অধ্যক্ষ,শিক্ষার্থী ও কলেজ একসাথে তিনটি শ্রেষ্ঠ পাওয়া খুশি প্রতিষ্ঠানটি প্রায় সাত শত শিক্ষার্থী, অবিভাবক শিক্ষক,কর্মচারীসহ এলাকাবাসি। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান,জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ উপলক্ষ্যে শুধু শ্রেষ্ঠ কলেজ অধ্যক্ষ নয়,সাংস্কৃতিক প্রতিযোগায় আরো তিন জন শিক্ষার্থী ১ম স্থান অর্জন করেছেন। এছাড়াও ২০২০ সালে এইচএসসিতে শতভাগ ২০২১ সাথে শতভাগ এবং ২০২২ সাথে এসে ৯০ পার্সেন রেজাল্ট হয়েছে। যা উপজেলায় সেরা রেজাল্ট পেয়েছে কলেজটি।

 

মুন্ডুমালা পৌর এলাকার সচেতন মহল মনে করেন,মুন্ডুমালা শিক্ষা নগরী হিসাবে উপাধি পাওয়া জরুরী। কারণ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেশি। এখানের শিক্ষার মানও ভাল। যা প্রমান করে শ্রেষ্ঠ উপাধি পাওয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজ। শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ শহীদুল হক বলেন,পরিশ্রমও সততার ফল পেয়েছি। এখানে আমাদের মাননীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর মহোদয়ের অনেক অবদাম রয়েছে। কারণ তিনি কলেজটি চার তলা অবকাঠামো নির্মান করে দিয়েছেন। এজন্য শিক্ষার পরিবেশ ফিরে এসেছে কলেজে। সকল শিক্ষক কর্মচারী এক যোগে সহযোগিতা করে থাকেন প্রতিষ্ঠান সামনে এগিয়ে নিতে।

অধ্যক্ষ শহীদুল হক আরো বলেন, ১৯৯৯ সাথে স্থাপিত কলেজটি হাতে গোণা কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে চলা আজ উপজেলা সবচেয়ে বেশি প্রায় ৭০০ বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। শহরের কলেজের তুলনায় পড়া-লেখায় গ্রামের কলেজ হিসাবে কোনদিক থেকে পিছিয়ে নেই আমরা। সকল প্রতিযোগিায় আমরা অংশ নেই।

 

আগামীতে শুধু উপজেলায় নয়,জেলা পর্যায়ে যেন শ্রেষ্ঠ হতে পারি সে জন সকলের সহযোগিাতা কামনা করছি। উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার সিদ্দিকুর রহমান বলেন,শিক্ষার মান উন্নয়নে যে কাজগুলো একটি প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজন সে দিক দিয়ে মুন্ডুমালা মহিলা ডিগ্রি কলেজ অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে। সার্বিক দিক পর্যালচনা করে মুন্ডুমালা মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ ও এক শিক্ষার্থীকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করা হয়েছে।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৩ | সময়: ১০:৩৮ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine