বৃহস্পতিবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোটার, গোদাগাড়ী: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি পিএলসি নেসকোর নিবার্হী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গোদাগাড়ী নেসকোর বিদুৎ সরবারহ কেন্দ্র সুত্রে জানাযায় গত বছরের নভেম্বর মাসে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে যোগদান আবু রায়হান। এরপর থেকে এই প্রকৌশলী ঠিকঠাকভাবে তার দায়িত্ব পালন না করায় গোদাগাড়ীতে ঘনঘন বিদুৎ বিভ্রাট ঘটে। এতে করে বিদুৎ গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গোদাগাড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে মাত্র ৬-৭ ঘন্টা বিদুৎ থাকে। বিশেষ করে মাগরিব ও এশারের নামাজের সময় বিদুৎ থাকেনা। পৌর এলাকার বুজরুকপাড়া গ্রামের সৈয়দ সাদরুজ্জামান রন্টু বলেন,ঘনঘন বিদুৎ যাওয়া-আসার কারণে তার এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ের লেখা পড়া করতে পারে না। বিদুতের জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিসে ফোন করলে কাওকে পাওয়া যায় না। নেসকোর গোদাগাড়ী অফিসের ্একটি সুত্র জানায়,নির্বাহী প্রকৌশলী সকাল ১১ থেকে কোনদিন আবার দুপুর ১২টার দিকে অফিসে আসে। আর ২ টার দিকে চলে যায়। খোজ নিয়ে জানা গেছে রাজশাহী শহরে তার বাবার মুক্তা হাওয়্যারারে ব্যবসায়ী কাজে সময় দেন। নতুন বিদুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করলে ঘুষ ছাড়া সংযোগ পাওয়া যায় না। গোদাগাড়ী ডাইংপাড়া মোড়ে সরকারী জায়গায় দোকান রয়েছে বিকাশ চন্দ্র সিংহের। এই দোকান ঘরে নতুন বিদুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করলে সরকারী জায়গায় বিদুৎ সংযোগ দেওয়ার নিয়ম নেই এই অজুহাত দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চাই। কিন্তু বিকাশ চন্দ্র সিংহ এত টাকা জোগাড় করতে না পাড়ায় তার বিদুৎ সংযোগটি দিচ্ছে না নির্বাহী প্রকৌশলী। অথচ বিকাশ চন্দ্র সিংহ দোকানের পাশে সরকারী জায়গায় বিএনপির দলীয় কার্যলয়সহ হাজারও বেশি বিদুৎ সংযোগ রয়েছে। এই নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনওর)কাছে অভিযোগ করেন বিকাশ চন্দ্র সিংহ। ইউএনও সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, বিকাশ চন্দ্র সিংহকে বিদুৎ সংযোগ দিতে অনুরোধ জানিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নেসকোর নিবার্হী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন,সরকারী জায়গায় বিদুৎ সংযোগ দেয়ার নিয়ম নাই। ঘুষ ও অনিয়মের বিষয়টি সঠিক নয়।