রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: সবজির মৌসুম শেষের দিকে। তাই মাঠ ভরা সবজিও আর চোখে পড়ে না। তার প্রভাব পড়েছে বাজারে। দুই সপ্তাহ ধরে বাজারে সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া। পেঁপে, আলু, বেগুন কিনতেই গলদঘর্ম হতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তার উপরে চলতি সপ্তাহে বেড়েছে মাংস ও মাছের দাম।
রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। গত সপ্তাহের চেয়ে সয়াবিন তেল ও সব রকমের মাছের দাম। গত সপ্তাহের চেয়ে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে গরুর মাংসের দাম। গত সপ্তাহে বাজারে গরুর মাংসের দাম ছিলো ৭২০ টাকা। কিন্তু এ সপ্তাহে ৭৪০ থেকে ৭৫০ টাকা কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে।
কয়েকজন গরু মাংস বিক্রেতারা জানান, সামনে কোরবানি। খামারগুলোতে গরু প্রস্তুত করা হচ্ছে কোরবানির ঈদের জন্য। সে কারণে হাটে কমেছে গরুর আমদানি। তাই দামও বেশি। এ সমস্যা আরো এক সপ্তাহ থাকতে পারে। পর্যাপ্ত গরু উঠলে হয়তো দাম কমে আসবে।
গরুর মাংস বিক্রেতা জহুরুল ইসলাম জানান, হাটে যে গরু ৭০ হাজার টাকা, সেটা কিনতে হচ্ছে ৯০ হাজার টাকায়। বেশি দাম দিয়ে গরু কিনে কম দামে ক্রেতাদের কাছে কিভাবে তারা বিক্রি করবে।
তিনি আরো জানান, ক্রেতারা ঝগড়া করছে। কিন্তু তাদের কিছু করার নেই। গরুর দাম বেড়েছে।
মাছের বাজারও বেড়েছে। ৪ থেকে ৭ কেজি ওজনের মাছ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। একই সাইজের কাতলা মাছও বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। বড় সাইজের সিলভার কার্প মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। মাঝারি সাইজের মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা।
নগরীর উপশহর মাছের বাজারে মাছ কিনতে আসা জমশেদ আলী জানান, সবজি থেকে শুরু করে কোন জিনিস কিনেই শান্তি নেই। আয় সীমিত। কিন্তু ব্যায় বেড়েছে কয়েকগুণ। যার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। যে মাছ ২০০ টাকা কেজি তা বেড়ে হয়েছে ২৫০ টাকা।
গত সম্পাহের চেয়ে সবজির দাম কিছুটা কমেছে।
এ সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে যে পরিমানে কমেছে তাও সহনিয় পর্যায়ে নয়। গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে। ডিমের হালি ৩২ থেকে ৩৪ টাকা। গত সপ্তাহের দামে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা ও দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়।