শনিবার, ১০ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার:
আসন্ন ২১ জুনের রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি নেতা মো. সাহিদ হাসান। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ছাত্রজীবনে মো. সাহিদ হাসান রাজশাহী কলেজের ছাত্রদলের সভাপতি ও ছাত্র সংসদের ভিপি ছিলেন। পরে রাজশাহী মহানগরের ছাত্রদলের সভাপতি হন। ছাত্রজীবন শেষে বিএনপির রাজশাহী মহানগরের প্রথমে ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পরের কমিটিতে বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ পান। তিনি দীর্ঘদিন যাবত কোন কমিটিতে নেই। বিজ্ঞপ্তির শুরুতেই তিনি নিজের রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরেন এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের প্রদেয় ১৯ দফা কর্মসূচীর প্রতি আস্থা ও শ্রদ্ধা জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেছেন, ছাত্রজীবন থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত হয়ে নিজেকে একজন সফল জাতীয়তাবাদী কর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজাশাহী সিটি নির্বাচন নিয়ে আমি বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছি তা হলো- ‘রাষ্ট্র ও নির্বাচন কমিশন অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন করলে সেক্ষেত্রে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব’। কিন্তু আমার বক্তব্য না শুনেই এবং নূন্যতম আমার সাথে আলোচনা না করেই বিএনপির কয়েকজন নেতা যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তাতে তারা তাদের রাজনৈতিক অদূরদর্শীতার প্রমাণ দিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলের কাছে আমি রাজশাহী-২ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু বিএনপি থেকে আমাকে সহ মিজানুর রহমান মিনু দুজনকেই মনোনয়ন দেন। পরে মিনু ভাইকে প্রতীক দেওয়ায় আমি আমার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়।
সিটি নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিএনপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা সিটি নির্বাচন নিয়ে আমার সাথে কথা বলেছেন। আমি মনে করি আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হবে না। নির্বাচনের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের নেওয়া নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। সবশেষে তিনি রাজশাহীবাসী এবং সকল গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, রাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন প্রার্থীতা করছেন। এরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মনোনীত প্রার্থী মাওলানা হাফেজ মোরশেদ আলম ফারুকী। বুধবার পর্যন্ত মোট মনোনয়ন উত্তোলিত হয়েছিল ১৮২টি। এর মধ্যে মেয়র পদে তিনজন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৩২ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪৭ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। অপরদিকে সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১২জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৮জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র বিতরণ গত ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত। আর যাচাই-বাছাই করা হবে ২৫ মে পর্যন্ত। ১ জুনের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। ২ জুন প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আগামী ২১ জুন সব ভোটকেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করা হবে।
সানশাইন/সোহরাব