রবিবার, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ইং, ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বং।
স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা :
রাজশাহীর বাঘায় এক গৃহবধুর জন্য এক বছরের ব্যবধানে দুই দফা জরিমানা গুনেছে শাহিন আলম নামে এক যুবক। তবে এবার শনিবার(১৪ মে) রাতে স্থানীয় জনতার মাধ্যমে তাকে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হলে ইইপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় সে ছাড়া পায়। অত:পর রবিবার বিকেলে গৃহবধুর ইজ্জতের মূল্য হিসাবে মাত্র ১৫ হাজার টাকায় বিষয়টি রফা-দফা করা হয়। এর আগে গত বছর ঐ একই নারীর জন্য শাহিনকে খেসারত গুনতে হয় ৩০ হাজার টাকা। আটককৃত শাহিনের বাড়ি উপজেলার বাউসা পূর্ব পাড়া গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বাউসা এলাকার জনৈক গৃহবধু (২৭) এর স্বামী নাটোর এলাকায় বৌর ধান কাটতে যায়। এই সুযোগে শাহিন আলম (২৮) পূর্ব প্রেমের সম্পর্ক ধরে শনিবার রাতে গৃহবধুর ঘরে যায় । এ সময় গৃহবধু’র শ্বাশুড়ি তাদের আপত্তিকর অবস্থা দেখে বাহির থেকে ঘরের দরজা আটকিয়ে স্থানীয়দের বাড়িতে ডেকে আনে। এরপর স্থানীয়রা তাদের ঘরে আটকে রেখে গ্রাম পুলিশ আব্দুল মমিনকে পাহারা রেখে ঐ রাতেই থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। এ বিষয়ে গৃহবধু অভিযোগ না করায় রোববার বিকালে বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফান মুচলেকা দিয়ে উভয়কে ছাড়িয়ে এনে তাঁর কার্যালয়ে শালিস বৈঠক এর আয়োজন করেন। এ বৈঠকে শাহিন আলমের ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয় লোকজন জানান এ ঘটনার এক বছর পূর্বে ওই গৃহবধুর সাথে অনৈতিক ঘটনার অভিযোগে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন শাহিন আলম। শালিসে জরিমানার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে শাহিন আলম বলেন, এবারের জরিমানার ১৫ হাজার টাকা বর্তমান চেয়ারম্যানের নিকট জমা দেওয়া হয়েছে। আগের ৩০ হাজার টাকা সাবেক চেয়ারম্যানের নিকট জমা দিয়ে ছিলাম।
এদিকে সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক বলেন, আমি চেয়ারম্যান থাকাকালিন সময়ে ওই গৃবধুর সাথে অনৈতিক ঘটনার দায়ে শাহিন আলমের ৩০ হাজার টাকা জরিমনা করে ছিলাম এটা সত্য। অপর দিকে বর্তমান চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ তুফান বলেন, ওসির দেওয়া দায়িত্বে এক শালিসি বৈঠক এর মাধ্যমে বিষয়টি সমাঝোতা করা হয়েছে। গৃহবধুর স্বামীর সাথে কথা বলে সমাঝোতা করেছি। উক্ত শালিস বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শাকিম মেম্বর, আশরাফ শাহ,রেজাউল করিম প্রমুখ।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে গৃহবধু বা তার পক্ষে কোন অভিযোগ না করায় স্থানীয় ভাবে সমাঝোতার জন্য চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। চেয়ারম্যান বিষয়টি আপোশ করেছেন শুনেছি। তবে জরিমানার বিষয়ে জানা নেই।
সানশাইন/সোহরাব