রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা :
রাজশাহীর বাঘার সুমন আলী নামে এক যুবককে ইতালিতে নেয়ার কথা বলে ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে বিমান যোগে নেয়া হয় চট্রগামে। সেখান পৌছার পর একটি মাইক্রো যোগে এক বাসা বাড়িতে নিয়ে তার কাছে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (৭ মে) বাঘা থানায় এমনটি অভিযোগ করেছেন সুমনের বড় ভাই সুজন আলী। সুমন বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা ঠাকুরপাড়া গ্রামের আকাল আলীর ছেলে বলে জানা গেছে ।
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউসা ঠাকুরপাড়া গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী ওয়াহিদ আলীর মাধ্যমে আবদুর রহিম নামে অপর এক ব্যক্তির সাথে সুমন আলীর পরিচয় হয়। তারপর সে সুমনকে ইতালিতে পাঠানোর জন্য আগ্রহী করে তুলেন। তার কথামতো ইতালিতে যাওয়ার জন্য প্রায় তিন মাস আগে আবদুর রহিমের সাথে ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চুক্তি হয় সুমনের। চুক্তি মোতাবেক তার প্রয়োজনী কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। সেই মোতাবেক শনিবার (৫ মে) তার ইতালি যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য তাকে ইতোমধ্যে তিন ভাগের দুই ভাগ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
সুমন আলীর বড় ভাই সুজন আলী বলেন , ইতালি যাবে মর্মে আমার ছোট ভাইকে ঢাকা বিমানবন্দর পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে পৌঁছে দেওয়া হয়। শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার সময় ঢাকা বিমানবন্দর থেকে বিমানে উঠে আমার ভাই। এরপর ঐ বিমানটি চলে যাই চট্রগ্রাম । সেখান থেকে আবদুর রহিমের লোকজন একটি মাইক্রো যোগে আমার ভাই সুমন(৩০) কে একটি বাসা বাড়িতে নিয়ে অবরুদ্ধ করে বলে,তুমি ইতালি পৌছে গেছ। এখন বাড়িতে মোবাইল করে পাঁচলক্ষ টাকা চাও । নিরুপায় হয়ে সুমন তার ভাইয়ের কাছে ঘটনা খুলে বলে এবং টাকা চাই। সেই সাথে একথাও বলে যে , তুমি টাকা না পাঠালো ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। নিরুপায় হয়ে সুমনের বড়ভাই সুজন আলী(৪৫) এ বিষয়ে বাঘা থানায় পরদিন সকালে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে। এরপর সুমনকে উদ্ধারের জন্য চট্টগ্রাম-সহ বিভিন্ন থানায় ম্যাসেজ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের একটি টিম ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।
সানশাইন/শামি