শনিবার, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: সম্পর্কে তারা শ্বশুর-জামাই। তবে ব্যাপারটি যখন ক্রিকেট বিশ্লেষণের, পারিবারিক পরিচয় তখন আড়ালেই রাখতে হয়। শহিদ আফ্রিদি দেখালেন তেমনটিই। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের পরাজয়ের পর সাবেক এই অধিনায়ক বললেন, গুরুত্বপূর্ণ সময়েই খেই হারিয়েছেন পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র শাহিন শাহ আফ্রিদি।
গত সোমবার এই ম্যাচে মার্ক চাপম্যানের অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে পাকিস্তান হেরে যায় ৬ উইকেটে। এক পর্যায়ে যদিও দারুণ অবস্থানে ছিল বাবর আজমের দল। ১৯৩ রানের পুঁজির পর বোলিংয়ে নেমে শাহিন আফ্রিদি প্রথম ওভারেই পাকিস্তানকে এনে দেন দুই উইকেট।
শাহিনের দ্বিতীয় ওভারে অবশ্য চারটি বাউন্ডারি মারেন কিউই ওপেনার চ্যাড বাওয়েস। তবে সেটিও বড় কিছু মনে হয়নি তখন। বাওয়েস আউট হয়ে যান ১৯ রান করেই। ১০ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের রান ছিল ৪ উইকেটে ৭৩। শেষ ১০ ওভারে তাদের প্রয়োজন পড়ে ১২১ রানের। জিমি নিশামকে নিয়ে চাপম্যান অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে সেখান থেকেই নিউ জিল্যান্ডকে জিতিয়ে দেন। এই জুটির সময়ই শাহিন দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি, বললেন শহিদ আফ্রিদি।
“ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে লাইন ও লেংথে ধারাবাহিক থাকা জরুরি। শাহিন শুরুটা করেছিল দুর্দান্ত। কিন্তু যখন দলের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময়, সে তখন ভুল জায়গায় বল রেখেছে, অনেকটা এলোমেলো বল করেছে।” চাপম্যান ও নিশামের জুটি যখন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, জুটি ভাঙতে তখন ১৪তম ওভারে বোলিংয়ে আনা হয় শাহিনকে। কিন্তু তার বোলিংয়ে ধার ছিল না। চাপম্যানের একটি ছক্কাসহ ওভার থেকে আসে ১২ রান।
পরে ৩ ওভারে যখন প্রয়োজন ২৮ রান, তখনও শেষ ভরসা হিসেবে আবার শাহিনের হাতে বল তুলে দেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। এবার শাহিনের ওভারে তিন বাউন্ডারিতে ১৬ রান নিয়ে ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নিশ্চিত করে দেন চাপম্যান। শুধু শাহিন নয়, শহিদ কাঠগড়ায় তুললেন শাদাব খানকেও। দুই বাঁহাতি চাপম্যান ও নিশামের সামনে এ দিন মোটেও সুবিধা করতে পারেননি এই লেগ স্পিনার। ২ ওভার বোলিংয়ে তিনি রান দেন ২৯। শহিদ আফ্রিদির মতে, ব্যাটিংয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে বোলিংকে অবহেলা করছেন শাদাব।
“মাঝের ওভারগুলোতে শাদাব সবসময়ই দারুণ পারফর্মার। তবে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে সে ভুগেছেও সবসময়। ওর উচিত বোলিংয়ে আরও মনোযোগ দেওয়া, কারণ এটিই তার মূল শক্তির জায়গা। ব্যাটিংটাকে তার আড়ালেই রাখা উচিত। দিন শেষে পারফরম্যান্সটাই মুখ্য এবং স্কোয়াডে জায়গা ধরে রাখতে হলে তার বোলিংয়ে উন্নতি করা দরকার।”