সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
মাহফুজুর রহমান প্রিন্স, বাগমারা: বাগমারা ও আশেপাশের এলাকায় দাবদাহের মধ্যে চলছে ভয়াবহ লোডিশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বাগমারার মানুষ। দিনে অন্তত ১০-১৫ বার লোডশেডিং দিচ্ছে পল্লী বিদ্যুত। ফলে আবাসিক গ্রহক ছাড়াও ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও কৃষিতে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
নাটোর পল্লী বিদ্যুতের বাগমারা জোনাল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় গ্রীড ফেল করায় বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা সহ সারা দেশ জুড়ে বিদ্যুত বিপর্যয় দেখা দেয়। এছাড়া চাহিদার তুলনায় বিদ্যুত উৎপাদন কম হওয়ায় চাহিদা মাফিক বিদ্যুত পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ধীরে ধীরে এ সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। এদিকে গেল কয়েকদিন ধরে চলছে প্রখর রোদ প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে উপজেলা জুড়ে মানুষের জীবনযাত্রা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
উপজেলার মাড়িয়ার ভ্যান চালক আফজাল হোসেন জানান, আগে সারাদিন ভ্যান চালিয়ে ৪-৫শ টাকা আয় হতো। এখন প্রচণ্ড গরমের কারণে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। এখন সারাদিন ভ্যান চালিয়ে ২-৩শ টাকা আয় করা মুস্কিল হয়ে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, সারা দেশ জুড়েই প্রচণ্ড দাবদাহ চলছে। তবে বাগমারা সহ আশেপাশের এলাকায় বৈশাখের শুরুতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় বোরো ধানের তেমন ক্ষতির আশংকা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আর সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। আগাম বোরো ধান এরি মধ্যে পাকতে শুরু করেছে।
তার মতে, এখানে বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকলেও চাষীরা বোরো ধানে সেচ দিতে পারছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী বলেন, তাপ প্রবাহের কারণে সর্দি-জ্বর ও ডায়রিয়া রোগী হাসপাতালে এসে চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। তবে এখনও তেমন রোগী সংখ্যা বাড়েনি।