শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে মাত্র ৫ রানে জয় পাঞ্জাব কিংসের

স্পোর্টস ডেস্ক: উত্তেজনার শেষ সীমায় পৌঁছে গিয়েছিলো পাঞ্জাব কিংস আর রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচ। ১৯৭ রানের জবাব দিতে নেমে জয়ের একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলো রাজস্থানের দলটি। শেষ পর্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে মাত্র ৫ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে শিখর ধাওয়ানের দল পাঞ্জাব।
গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব কিংস। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানে থেমে যায় রাজস্থানের ইনিংস।
এ নিয়ে আইপিএলে টানা দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেলো পাঞ্জাব কিংস। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে। রাজস্থান রয়্যালস প্রথম ম্যাচ জিতেছিলো; কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হলো তারা। টস জিতে পাঞ্জাব অধিনায়ক শিখর ধাওয়ানকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় রাজস্থান অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন। ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাবের দুই ওপেনারই ঝড় শুরু করে দেন। ৯.৪ ওভারে ৯০ রানের জুটি গড়ে তোলেন দুই ওপেনার। ৩৪ বলে ৬০ রানের ঝড় তুলে প্রাবশিমরান সিং আউট হন।
অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান অপরাজিত থাকেন ৫৬ বলে ৮৬ রানের বিশাল ইনিংস খেলে। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ভানুকা রাজাপাকসে মাত্র ১ রান করে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন। জিতেশ সিং করেন ২৭ রান। শাহরুখ খান করেন ১১ রান। শেষ পর্যন্ত ১৯৭ রানে গিয়ে থামে পাঞ্জাব কিংসের ইনিংস।
জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানে থেমে যায় রাজস্থানের ইনিংস। ইনিংস ওপেন করতে নেমেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। কিন্তু ৪ বল খেলে কোনো রান না করেই বিদায় নেন তিনি। জসস্বি জসওয়াল করেন ১১ রান। জস বাটলার আউট হন মাত্র ১৯ রান করে। অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনই সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন ২৫ বল খেলে। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
শিমরন হেটমায়ার ১৮ বলে ৩৬ রান করে আউট হন। ১৫ বলে ৩২ রান করে রাজস্থানের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেন ধ্রুভ জুরেল। কিন্তু কাজে লাগেনি তার ঝড়। দেবদূত পাডিক্কাল ২১ রান করেন। রায়ান পরাগ করেন ২০ রান।
পাঞ্জাবের নাথান এলিসই মূলত রাজস্থানের পরাজয়ের জন্য বড় দায়ী। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে তিনি নেন ৪ উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতেন তিনি। ২ উইকেট নেন আর্শদিপ সিং।


প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৩ | সময়: ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ