মঙ্গলবার, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় র্যাব হেফাজতে নিহত সুলতানা জেসমিনের ছেলে সৈকত ও ভগ্নীপতি আমিনুল ইসলামের সাথে কথা বলেছে র্যাবের একটি তদন্ত দল। সোমবার নওগাঁ সার্কিট হাউজের একটি কক্ষে বেলা পৌণে ১টা থেকে পৌণে ৪টা পর্যন্ত রুদ্ধদ্বার কথা হয় দুই পক্ষের। পরিবারের সাথে কথা শেষ করে র্যাবের ওই দল গণমাধ্যমকে এড়িয়ে দ্রুত সার্কিট হাউস থেকে বের হয়ে যান।
র্যাব চলে যাওয়ার পর জেসমিনের ভগ্নিপতি আমিনুল হক সাংবাদিকদের বলেন , গত ২২ মার্চ জেসমিনকে গ্রেফতারের পর নওগাঁ হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সুলাতানা জেসমিনের মৃত্যু পর্যন্ত যেহেতু আমি ও তার ছেলে সৈকত ছিলাম সেহেতু এই সময়ের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে তাই বর্ণনা আকারে আমাদের নিকট জানতে চেয়েছে তারা। তদন্ত টিম তাদের দু’জনের বক্তব্য লিখিত আকারে গ্রহণ করেছে।
নিহত সুলতানা জেসমিনের ছেলে সৈকত বলেন, তার মায়ের মৃত্যুতে খানিকটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে তার পোড়াশোনা। কিন্তু মায়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তা ঠিকঠাক করে যেতে চান তিনি। তবে মায়ের মৃত্যু বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দেখান নি সৈকত।
এদিকে সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের এই অধ্যাপক জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণেই সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে রোববার বিকেলে জেসমিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন ডা. কফিল।
উল্লেখ্য সুলতানা জেসমিন (৪৫) নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিলেন। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কর্মরত যুগ্ম-সচিব এনামুল হকের অভিযোগে গত ২২ মার্চ নওগাঁ থেকে র্যাব আটক করে ভূমি অফিসের কর্মী জেসমিনকে। আটকের চার ঘণ্টা পর তাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় র্যাব। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শুক্রবার সেখানে তার মৃত্যু হয়।