সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: গত আসরেও বেশ নাজুক অবস্থা ছিল রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের। এবারের আসরের শুরুতেও সেই নাজুক অবস্থা থেকে বের হতে পারলো না তারা। উল্টো বিরাট কোহলি এবং ফ্যাফ ডু প্লেসির ব্যাটিং তাণ্ডবে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে একপ্রকার উড়েই গেছে রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তিলক ভার্মার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান সংগ্রহ করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। জবাব দিতে নেমে মাত্র ১৬.২ ওভারে (২২ বল হাতে রেখে) ৮ উইকেটের ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বেঙ্গালুরু। ব্যাট হাতে ওপেন করতে নেমে ১৪৮ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন ডু প্লেসি এবং বিরাট কোহলি। ৪৩ বলে ৫ বাউন্ডারি এবং ৬ ছক্কায় ৭৩ রান করে কোহলি আউট হয়ে গেলেও ৪৯ বলে ৬ বাউন্ডারি এবং ৫ ছক্কায় ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন ডু প্লেসি।
দিনেশ কার্তিক শূন্য রানে আউট না হলে ব্যবধানটা হতে পারতো ৯ উইকেটের। ম্যাক্সওয়েল অপরাজিত ছিলেন ১২ রানে। মুম্বাইয়ের হয়ে আরশাদ খান এবং ক্যামেরন গ্রিন নেন ১টি করে উইকেট। এর আগে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে মুম্বাইকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় রয়েল চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দারুণ বিপর্যয়ে পড়ে মুম্বাই। অধিনায়ক রোহিত শর্মা আউট হয়ে যান মাত্র ১ রান করে। ১০ রান করেন ইশান কিশান। ক্যারেন গ্রিন আউট হয়ে যান ৫ রানে।
১৫ রান করে আউট হন ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা সুর্যকুমার যাদব। ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নামা তিলক ভার্মাকে সামলাতে পারেনি বেঙ্গালুরুর বোলাররা। উইকেটের চারদিকে পিটিয়ে ৪৬ বলে ৮৪ রান করেন তিনি। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ৪টি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিতই থাকেন ভার্মা।
এছাড়া আর কোনো ব্যাটার খুব বড় অংকের কোনো রান করতে পারেননি। ১৩ বলে ২১ রান করেন নেহাল ওয়াদেরা। শেষ দিকে ৯ বলে ১৫ রান করেন আরশাদ খান। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান সংগ্রহ করে মুম্বাই। বেঙ্গালুরুর হয়ে করন শর্মা নেন ২টি উইকেট। মোহাম্মদ সিরাজ, রিস টপলি, আকাশ দিপ হার্শাল প্যাটেল এবং মিচেল ব্রেসওয়েল নেন ১টি করে উইকেট।