শুক্রবার, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তখন সবকিছু নড়াচড়া দিয়েও উঠেনি ঠিকঠাক। ম্যাচের ফাঁকে এখনও একদিন বাকি, মাঠকর্মীদেরও খুব একটা তাড়া নেই তাই। এর মধ্যেই অনুশীলন শুরু করে আয়ারল্যান্ড দল। তারা সেখানে ছিল বেশ সিরিয়াসও। লম্বা সময় ধরেই অনুশীলনে ব্যস্ত ছিল সফরকারীরা।
এরপর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন রস অ্যাডেইর। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ভরাডুবি হওয়া আয়ারল্যান্ডের স্কোয়াডে ছিলেন না তিনি। এই ক্রিকেটার এসে ইতিবাচকই থাকতে চাইলেন, দিলেন আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের বার্তা। সঙ্গে তিনি বললেন, বাংলাদেশকে নিয়ে ভয় নেই তাদের। তিনি বলছিলেন, ‘বাংলাদেশ মাঝের ওভারগুলোতে খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। মুশফিক বা বাকিদের ভেতর দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল। সে (মুশফিক) অসাধারণ ব্যাট করেছে। ডিসিপ্লিন থাকা দরকার কিন্তু একই সঙ্গে আক্রমণাত্মকও। আমরা বাংলাদেশকে ভয় পাচ্ছি না। তাদের সঙ্গে সত্যিই ভালো খেলতে হবে। ’
কোন ধরনের ক্রিকেট খেলবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা সেটাই করতে চাই, যেটাতে ভালো। মনে হচ্ছে, ব্যাট হাতে আক্রমণাত্মক হবো আর বোলিং ও ফিল্ডিংয়েও। আমরা যদি সেটা করতে পারি, আপনি জানেন না কী ঘটবে। ’টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ সুখস্মৃতি আছে আয়ারল্যান্ডের। বিশ্বকাপে তারা হারিয়েছে ইংল্যান্ডকে। এই ফরম্যাট এলে দলগুলোর মধ্যে ব্যবধানও কমে আসে। রস অ্যাডেইর মুখেও ফরম্যাট বদলে যাওয়ার স্বস্তি। তিনি বলেছেন, ‘ছেলেরা হতাশ কিন্তু এটা নতুন শুরু, নতুন ফরম্যাট। আমরা ফিরে আসার চেষ্টা করছি আর যতটুকু ইতিবাচক থাকা যায়। আমরা জানি বাংলাদেশ কতটা ভালো দল। নতুন ফরম্যাটে ঢুকার সুযোগ হিসেবে দেখছি।