সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: স্পিন সহায়ক উইকেটে সিরিজের প্রথম তিন টেস্টের প্রতিটির ফল হয়ে যায় তিন দিনের মধ্যে। ব্যতিক্তম কেবল শেষ টেস্টে। তৃতীয় দিনেও উইকেট এখানে যথেষ্ট ব্যাটিং সহায়ক। সেই সুবিধা দারুণভাবে কাজে লাগালেন শুবমান গিল। তরুণ ওপেনার উপহার দিলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। এক বছরের বেশি সময় পর সাদা পোশাকে পঞ্চাশ স্পর্শ করলেন বিরাট কোহলি।
আহমেদাবাদ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার রান পাহাড়ের জবাব ভালোভাবেই দিচ্ছে ভারত। তৃতীয় দিন শেষে স্বাগতিকদের রান ৩ উইকেটে ২৮৯। এখনও অবশ্য পিছিয়ে তারা ১৯১ রানে। সাদা বলে সাম্প্রতিক সময়ের দুর্দান্ত ফর্ম টেস্টেও বয়ে এনে ২৩৫ বলে ১২৮ রানের ইনিংস খেলেন গিল। দেশের মাটিতে তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির ইনিংসটি গড়া ১২ চার ও এক ছক্কায়। ১৫ ইনিংস পর ফিফটি করে কোহলি খেলছেন ৫৯ রানে। উইকেটে তার সঙ্গী রবীন্দ্র জাদেজা।
ভারত তৃতীয় দিন শুরু করে বিনা উইকেটে ৩৬ রান নিয়ে। শুরুর জুটির রান ছাড়িয়ে যায় পঞ্চাশ। প্রথম ঘণ্টার শেষ দিকে রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে ৭৪ রানের জুটি ভাঙেন ম্যাথু কুনেমান। বাঁহাতি স্পিনারের বলে শর্ট এক্সট্রা কাভার ফিল্ডারকে ক্যাচ দেন ভারত অধিনায়ক (৫৮ বলে ৩৫)। এরপর দলকে এগিয়ে নেন গিল ও চেতেশ্বর পুজারা। প্রথম সেশনে রোহিতের উইকেট হারিয়ে ভারত তোলে ৯১ রান।
গিল ফিফটি স্পর্শ করেন ৯০ বলে। চা-বিরতির আগে বাউন্ডারিতে ১৯৪ বলে তিনি পূর্ণ করেন দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। ওই ওভারেই পুজারার বিদায়ে ভাঙে ১১৩ রানের জুটি। তরুণ অফ স্পিনার টড মার্ফির বলে এলবিডব্লিউ হন ভারতের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান (১২১ বলে ৪২)। তৃতীয় উইকেটে কোহলির সঙ্গে আরেকটি পঞ্চাশোর্ধ (৫৮) জুটি গড়েন গিল। তাকে এলবিডব্লিউ করে থামান অভিজ্ঞ অফ স্পিনার ন্যাথান লায়ন।
কোহলি এরপর ফিফটি পূর্ণ করেন ১০৭ বলে। জাদেজার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৪৪ রানের জুটিতে দিনের খেলা শেষ করে মাঠ ছাড়েন সাবেক ভারত অধিনায়ক। জাদেজা অপরাজিত আছেন ৫৪ বলে ১৬ রান করে।