সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
পুঠিয়া প্রতিনিধি :
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় ১০ টাকা সের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজি করে দেওয়া চালের কার্ড অন্যের নামে করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নে। ভুক্তভোগী বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তার কার্ড বহাল না থাকায়, ১০ টাকা কেজি চাউলের কার্ড ফিরে পেতে দারস্থ হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে। ভালুকগাছি ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হক পেশায় একজন নাপিত। সরকারি চাউল আর মানুষের চুল কেটে যা পায় তাদের কোনমতে কষ্ট করে সংসার চলছিল। হঠাৎ চাউল নিতে গিয়ে দেখতে পায় তার জায়গায় অন্য কেউ চাউল নিচ্ছে। তখন যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো অবস্থা মোজাম্মেল হকের। মোজাম্মেল হক জানায় চাউলের কার্ড ফিরে পেতে চেয়ারম্যান, মেম্বার, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে পর্যন্ত তিনি দ্বারস্থ হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লেখা আবেদন পত্র থেকে জানা যায় যে, মোঃ মোজাম্মেল হক, পিতা মৃত, কছিমুদ্দিন, পুঠিয়ার ৪ নং ভালুকগাছী ইউপির কোনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার কোন জমিজমাও নাই। উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের কাছেই সেলুনে কাজ করে নিজের সংসার চালায়। দশ টাকা কেজির, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ড করেছিল, যার কার্ড নং ৬৭৮ উক্ত কার্ড সংশোধন করে নতুন কার্ড নং ২৫ উক্ত কার্ডে দুই বার চাল ও পায়। কিন্তু পরবর্তিতে অনলাইনে নতুন কার্ড করেন যার কার্ড নং ১৪০১ উক্ত কার্ডে তাকে ১৭/১১/২২ইং তারিখে চাল দিবে বলে কার্ডে লেখেন কিন্তু সে চাউল পায়নি। তাই তার পুনরায় দশ টাকা কেজির চাউলের কার্ডটি বহাল রাখার জন্য আবেদন করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মোঃ মোজাম্মেল হক তিনি বলেন, কে বা কারা অন্য কারো সাথে আমার চাউলের কার্ড পরিবর্তন করে অন্য মানুষের নামে করে দিয়েছে। আমি একজন গরিব মানুষ তেমন কোনো আয় রোজগার নাই। দয়া করে আপনারা আমার চাউলের কার্ড ফিরিয়ে দিন।
এ বিষয়ে জানতে মুঠো ফোনে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আগে এক নিয়মে চাউল দেওয়া হতো বর্তমানে ওই চাউলের কার্ড ধারীদের নাম ঠিকানা সকল কিছু ডিজিটাল করা হয়েছে তার জন্য সরকার সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিš‘ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মোজাম্মেল হক ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ না করায় তার নাম বাদ দিয়ে অন্য আরেক জনের নাম দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ডিলার তিনিও একই রকম কথা বলছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ তিনি বলেন, এই সংক্রান্ত একটি দরখাস্ত পেয়েছি। আমি উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছি।