শুক্রবার, ৩১শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: প্রধান ছয় আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের দাম কমেছে। এ নিয়ে গত জানুয়ারির পর প্রথম সাপ্তাহিক লোকসানের পথে রয়েছে দেশটির মুদ্রা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
আবারও সুদের হার বাড়ানোর আভাস দিয়েছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। সেটা কী পরিমাণ বাড়াতে পারে তা নিয়ে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে ডলারের দর হ্রাস পেয়েছে। শুক্রবার গ্রিনব্যাক সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ। বর্তমানে তা ১০৪ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের কার্যদিবসে (বৃহস্পতিবার) যা ছিল ১০৫ দশমিক ৩৬। গত ৬ জানুয়ারির পর তা সর্বোচ্চ। সবমিলিয়ে গত শুক্রবারের পর থেকে এখন পর্যন্ত সূচক নিম্নমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ। জাপানের মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে ডলারের মূল্য কমেছে শূন্য দশমিক ১৫ শতাংশ। প্রতি ডলারে দাম স্থির হয়েছে ১৩৬ দশমিক ৫৭৫ ইয়েনে।
মূল বৈশ্বিক মুদ্রার বিপরীতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রধান কারেন্সি ইউরোর মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে শূন্য দশমিক ০৮ শতাংশ। ইউরোপ্রতি দর নিষ্পত্তি হয়েছে ১ দশমিক ০৬০৬ ডলারে। সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মতামত জানতে চায় রয়টার্স। তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের দাম বৃদ্ধি ক্ষণস্থায়ী। চলতি বছর ধীরে ধীরে বিশ্ব অর্থনীতির উন্নতি হবে। কঠোর মুদ্রানীতি গ্রহণের অবস্থান থেকে সরে আসবে ফেড বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এতে মুদ্রাটিরও দরপতন ঘটবে।