মঙ্গলবার, ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, বাগমারা: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যামবুলেন্স চালকের দৌরাত্মে ও চরম স্বেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ট হয়ে পড়ছে রোগি ও তার স্বজনরা। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নামে অত্যাচারি এই এ্যাম্বুলেন্স চালক সাইফুল ইসলামের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ট মুমূর্ষু রোগীর স্বজনরা। তিনি আউট সোর্সিং এ নিয়োগপ্রাপ্ত।
জানা যায়, সাইফুল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ব্যক্তিগত গাড়ী চালক হওয়ায় তার এই হামবড়া ও দৌরাত্মভাব।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা কথা বলে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম স্বাস্থ্য বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি করে আসছেন। নানা কৌশলে রোগীর স্বজনদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন। টাকা গ্রহণের রশিদ দেন না। সরকারি এ্যাম্বুলেন্স নষ্ট অজুহাতে তার নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্সে চড়া মূল্যে ভাড়া নিতে বাধ্য করেন।
এ কাজে সহযোগিতার জন্য স্থানীয় বখাটেদের কাজে লাগান। কোন মুমূর্ষু রোগীর স্বজন প্রতিবাদ করলে তাদের ভয়ভীতি এমন কী রোগী বহনে অপারগতা প্রকাশ করেন। অভিযোগের সূত্রধরে সরজমিন হাসপাতাল চত্বর সহ উপজেলায় তার নিজস্ব এ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার প্রচারপত্রও দেখা গেছে বিভিন্ন দেয়ালে। একাধিক রোগীর স্বজনরা জানান, ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়েছে তাদের।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত টাকা গ্রহণের কথা সত্য নয়। তবে ২০০-১০০ টাকা বকশিস গ্রহণের কথা স্বীকার করেন তিনি।
বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানী জানান, আমার কাছে কেউ অভিযোগ জানায়নি। রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, তাকে সতর্ক করা হয়েছে। অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে তার চাকরি থাকবে না।