বুধবার, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ ইং, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বং।
স্টাফ রিপোর্টার : নারীদের প্রতি যৌন হয়রানি ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতারোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে প্রতিরোধও গড়ে তুলতে হবে। যৌন হয়রানির ঘটনা দেখেও প্রতিবাদ না করাটাও অপরাধ। কর্মক্ষেত্রে এবং জনবহুল স্থানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইনের গুরুত্ব নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে সচেতনতামূলক এক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
ব্র্যাক সোশ্যাল কমপ্লায়েন্সের আয়োজনে রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী নগরীর একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এই সভা হয়। আলোচকেরা বলেন, নারীদের কর্মক্ষেত্রের পাশাপাশি ডিজিটাল প্লাটফর্মেও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এসব ক্ষেত্রে নারীদের মৌখিক, ইঙ্গিতমূলক ও শারীরিকভাবে যৌন নির্যাতন করা হয়। এতে নারীরা সমাজে পিছিয়ে পড়ছে। তাই সমাজে নারীদের প্রতি যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে গণমাধ্যমের পাশাপাশি সমাজের সচেতনমহলের এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।
সভায় ব্র্যাকের কর্মসূচি সমন্বয়ক মেহের নিগার, কর্মসূচি ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম, কারিগারি ব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা মোরসলিন সরকার, মিতা সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, ব্র্যাকের ‘অগ্নি’ প্রকল্পের আওতায় নারীদের প্রতি সহিংসতা ও যৌন হয়রানিরোধে রাজশাহী ও গাজীপুরের মোট ৮০টি স্কুলের ১৬ হাজার শিক্ষার্থী এবং তাদের শিক্ষক ও অভিভাবকের সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। তাদের যৌন হয়রারি প্রতিরোধের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শিশুদের গুড টাচ এবং ব্যাড টাচ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে।