সর্বশেষ সংবাদ :

উইকেট যেমনই হোক, আগ্রাসী ক্রিকেট খেলবে ইংল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ সফরে উপমহাদেশের বাইরের যে কোনো দেশের বড় চিন্তার কারণ হয় উইকেট। গতিময় ও বাউন্সি উইকেটে খেলে অভ্যস্ত দলগুলোর জন্য বাংলাদেশের ধীরগতির উইকেটে মানিয়ে নেওয়া হয় কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে ইংল্যান্ড দল তো এখন কেবল একটা ঘরানাই জানে! আগ্রাসন ছাড়া ইংলিশদের আর কোনো পথ আপাতত জানা নেই। বাংলাদেশেও সে পথেই দল ছুটবে বলে সাফ জানিয়ে দিলেন জস বাটলার।
তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে এসে এর মধ্যে দুদিন অনুশীলন করেছে ইংলিশরা। দুই দিনই নেটে ব্যাটিং অনুশীলনের জন্য নেট বোলার হিসেবে এক গাদা স্পিনার ডেকে নিয়েছে তারা। দলে দুজন লেগ স্পিনার থাকার পরও বাড়তি লেগ স্পিনার ছিল তাদের অনুশীলনে।
এমনকি পেস বোলিংয়ের পাশাপাশি জফ্রা আর্চারকেও নেটে স্পিন বোলিং করতে দেখা গেছে। আর্চারের স্পিন করাটা হয়তো মজা করেই। তবে বাংলাদেশের বাস্তবতা যে ইংলিশরা অনুধাবন করেই এসেছেন, তা নিয়ে সংশয় নেই। বাংলাদেশে সফরে প্রথমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রোববার ইংল্যান্ডের অধিনায়কও তা পরিষ্কার করে দিলেন।
“আমরা নিচু ও ধীরগতির উইকেট প্রত্যাশা করছি। আমার মতে, কন্ডিশন আমাদের জন্য কঠিন হবে। ঠিক এ জিনিসই চাই আমরা। কঠিন কন্ডিশনে এমন চ্যালেঞ্জে নিজেদের পরীক্ষা করতে চাই। যা সামনে এগোনোর ক্ষেত্রে আমাদের জন্য দারুণ প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করবে।”
২০১৪ সালের জুনের পর থেকে বাংলাদেশকে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ হারানো একমাত্র দল ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের সবশেষ সফরে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল তারা। প্রায় ৬ বছর পর আবার বাংলাদেশে এসে জয়-পরাজয়ের চেয়ে উপমহাদেশের কন্ডিশনে নিজেদের যাচাই করে নেওয়াকে বড় করে দেখছে ইংলিশরা।
“এই সিরিজটি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে। ঘরের কন্ডিশনে বাংলাদেশকে হারানো খুব কঠিন। তারা কদিন আগে ভারতকেও হারিয়েছে। বিশ্বকাপের খুব বেশি বাকি নেই। তার আগে ঠিক এই ধরনের চ্যালেঞ্জই দরকার আমাদের। এমন কন্ডিশন আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন হতে পারে। দল হিসেবে আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে, তা বোঝা যাবে এখানে।”
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের শানিত করার বড় সুযোগও দেখছেন বাটলার এই সিরিজে। “আমাদের সব প্রস্তুতি বিশ্বকাপকে ঘিরে। (বাংলাদেশের) এসব কন্ডিশনই সম্ভবত সবচেয়ে কাছাকাছি ধরনের হবে, যেমনটা ভারতে আমাদের খেলতে হবে। আমাদের সামনে শুধু এই ম্যাচগুলিই আছে। এরপর সেপ্টেম্বরের আগপর্যন্ত আর খেলছি না। তো এটি দারুণ চ্যালেঞ্জ হবে। আমরা এই সিরিজের জন্য রোমাঞ্চিত।” চ্যালেঞ্জ কঠিন হলেও নিজেদের খেলার ধরন বদলানোর পক্ষে নন ইংলিশ অধিনায়ক। তাই বলে কন্ডিশনের তোয়াক্কা না করে প্রতি ম্যাচেই ৪০০ রানের পেছনে ছুটবে না তার দল। “আমরা সবসময় যতটা সম্ভব আগ্রাসী খেলার চেষ্টা করি। একটা ভুল ধারণা আছে যে, আমরা সবসময় ৪০০ রান করতে চাই। আসলে ব্যাপারটি হলো, আমরা সবসময় প্রত্যাশার সীমাটা আরেকটু বাড়ানোর চেষ্টা করি এবং গড়পড়তায় থেমে যেতে চাই না। নতুন উচ্চতায় পা রাখার চেষ্টা করি। উইকেট যদি ১০০ করার হয়, তাহলে আমরা ৮০ না করে ১০০-ই করতে চাই।”
“আমরা কন্ডিশন বুঝে যতটা সম্ভব নিজেদের খেলা সেভাবে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই কন্ডিশনটা বুঝতে হবে। তবে আমরা সবসময় নেতিবাচক চিন্তার চেয়ে ইতিবাচকতাকেই প্রাধান্য দেই।”


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩ | সময়: ৭:০২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ