শনিবার, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
তথ্য বিবরনী : খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, এখন দেশে খাদ্যের অভাব নেই, মঙ্গাও নেই। সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সুবিধা পাচ্ছে দলমত নির্বিশেষে সকলে।
শনিবার সকালে নিয়ামতপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৩’ এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। এসময় খাদ্যমন্ত্রী সাপাহার ও পোরশা উপজেলার একই কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকারের বাস্তবমুখী কার্যক্রমের ফলে বাংলাদেশ এখন মাছ, মাংস ও ডিম উৎপাদনে সাবলম্বী হয়েছে। একসময় দেশের বাইরে থেকে গরু আসতো। বিদেশী গরু না হলে আমাদের দেশে কোরবানি হতো না। এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। পর্যাপ্ত গরু এখন দেশেই উৎপাদিত হয়। কারণ সরকার খামারিদের জন্য ঋণের ব্যবস্থা করেছে। আধুনিক পদ্ধতিতে গবাদিপশু লালন পালনের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করায় অনেক খামারি বা উদ্যোক্তা খামার স্থাপনের মাধ্যমে এটাকে পেশা হিসাবে নিয়ে সফল হয়েছে।
সঠিক নেতৃত্ব পেলে বাঙ্গালি মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারে তার বড় প্রমাণ ১৯৭১ সালে দেখেছি মন্তব্য করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা লাভ করেছি। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের মডেল দেশ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন। বিষয়টি অনুধাবন করে উৎপাদন বাড়াতে আমাদের মনোযোগী হতে হবে। একই সাথে প্রাণিজ আমিষের চাহিদাপূরণে বাড়িতে গবাদিপশু, হাস- মুরগির লালন পালনও বাড়াতে হবে।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব হোসেন মন্ডল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইয়ামিন আলী।
এর আগে খাদ্যমন্ত্রী সপ্তাহব্যাপি প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, স্মার্ট লাইভস্টক, স্মার্ট বাংলাদেশ’ এ শিরোনামে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উদ্যোগে ঢাকাসহ সারা দেশে আজ থেকে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ শুরু হয়েছে।
প্রদর্শনীতে ৪২টি স্টলে বিভিন্ন প্রজাতির গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগী, কবুতর, বিভিন্ন সৌখিন পাখি এবং ঘোড়া প্রদর্শন করা হয়। উৎসুক জনতা প্রদর্শনী উপভোগ করেন এবং প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত খোঁজ খবর নেন।