বুধবার, ৩১শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
মান্দা প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় বাতিল করা অপারেটর ডেইজি আক্তার নামে এক নারী এখনও দখল করে রেখেছেন বৈদ্যপুর মাঠের একটি গভীর নলকূপ। কৃষকদের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা, অফিস আদেশ পালন না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তার পদটি বাতিল করে পত্র দেয় বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ।
গত ২ ফেব্রুয়ারি দেওয়া পত্রে ঘরের চাবিসহ যাবতীয় কাগজপত্র পরিচালনা কমিটির সভাপতি ব্রজেন্দ্রনাথ মণ্ডলের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা না মেনে নলকূপটি দখলে রেখেছেন ডেইজি আক্তার। এতে কৃষকদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। অপারেটর পক্ষ ও কৃষকেরা মুখোমুখি অবস্থান করায় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কৃষক গোলাম রাব্বানী বলেন, গত মৌসুমে পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে প্রতিবিঘায় ১২০০ টাকা হারে ধান উৎপাদন করেছিল কৃষকেরা। এবছর অপারেটর ডেইজি আক্তারের স্বামী সাইফুল ইসলাম সেচচার্জ নির্ধারণ করেছে বিঘা প্রতি ১৪০০ টাকা করে। একক সিদ্ধান্তে নলকূপটি পরিচালনা করেন তিনি। কৃষকদের মতামতকে তোয়াক্কা করা হয় না।
কৃষক মোনায়েম হোসেন বলেন, কৃষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন অপারেটর পরিবারের লোকজন। কোনো বিষয়ে সমন্বয়ও করা হয় না। জমিতে ঠিকমত পানি না দেওয়ায় ধানের উৎপাদন কমে যায়। এসব বিষয়ে তার অপারেটরের পদ বাতিলের দাবি জানিয়ে বিএমডিএ অফিসে অভিযোগ করা হয়েছিল।
গভীর নলকূপ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ব্রজেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, কৃষকের অভিযোগে ডেইজি আক্তারকে অপারেটর পদ থেকে বাতিল করেছে বিএমডিএ। এর পর ঘরের চাবিসহ যাবতীয় কাগজপত্র বুঝিয়ে না দিয়ে নলকূপটি দখলে রেখেছেন তিনি।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অপারেটর ডেইজি আক্তারের স্বামী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অপারেটরের পদ থেকে আমার স্ত্রীকে বাতিল করা হয়েছে সেটি বরেন্দ্র অফিসের বিষয়। ডিপ আমার দখলে আছে আমিই পরিচালনা করব। এতে কে কী ভাবলো তাতে আমার কিছুই যায় আসে না।’
এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা বিএমডিএ’র সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, কৃষকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডেইজি আক্তারকে অপারেটরের পদ থেকে বাতিল করা হয়েছে। অফিস আদেশ না মানলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, জটিলতা নিরসনে আগামি বৃহস্পতিবার ভালাইন ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের দিন ধার্য করা হয়েছে।