শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার ক্রিস লিনের ব্যাটিং তাণ্ডবে উড়ে গেলো ডেজার্ট ভাইপার্স। আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত প্রথম ইন্টারন্যাশনাল লিগ (আইএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ডেজার্ট ভাইপার্সকে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ংগালফ জায়ান্টস।
ক্রিস লিনের দুর্দান্ত ৭২ রানে উড়ে গেলো ডেজার্ট ভাইপারস। ডেজার্ট ভাইপার্সের ওয়ানিদু হাসারাঙ্গার লড়াই কোনো কাজে এলো না। প্রথম মৌসুমের ট্রফি হাতে তুলে নিলো হেটমায়াররা। ডেজার্ট ভাইপার্সের দেওয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্য মাত্র ১৮.৪ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় গালফ জায়ান্টস। ফলে সাত উইকেটে ফাইনাল হিতে নেয় গালফ জায়ান্টস।
২৭ বলে ৫৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা। এদিন তিনি ব্যাট হাতে ছয়টি চার ও ২টি ছক্কা হাঁকান। প্রায় ২০৩.৭০ স্ট্রাইকরেটে রান করেন হাসারাঙ্গা। তার ৫৫ রানের ইনিংসের ফলে ডেজার্ট ভাইপারস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তোলে।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গালফ জায়ান্টস। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল ডেজার্ট ভাইপার্স। মাত্র ৪৪ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল তারা।
মুস্তাফা সাত বলে ছয় রান ও হেলস ২ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরেছিলেন। এরপরে বিলিংস ও লিথ ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, তবে তারা সফল হননি। বিলিংস ২৯ বলে ৩১ রান করে ব্রেথওয়েটের শিকার হন। লিথকে আউট করেন গ্র্যান্ডহোম।
এরপর কলিন মুনরোও ৬ রান করে জর্ডনের শিকার হন। তবে ম্যাচের যেন এরপরেই সবটা বাকি ছিল। কারণ এরপরে ব্যাট হাতে নামেন হাসারাঙ্গা। ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান তিনি। ২৭ বলে ৫৫ রান করে আহমেদের শিকার হন তিনি। বিলিংস ও হাসারাঙ্গার জুটিতে ডেজার্ট ভাইপার্স ৪৪ রান থেকে ১১৬ রানে পৌঁছায়। এরপরে বিলিংস ও হাসারাঙ্গা পরপর আউট হন। শেষ পর্যন্ত আট উইকেট হারিয়ে ডেজার্ট ভাইপার্স স্কোর বোর্ডে তোলে ১৪৬ রান।
জবাবে ক্রিস লিনের ব্যাটে ম্লান হয়ে যায় ডেজার্ট ভাইপার্সের ১৪৮ রান। ১৮.৪ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গালফ জায়ান্টস। সাত উইকেটে ম্যাচ জিতে প্রথমবারের আইএল টি-টোয়েন্টি অর্থাৎ আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টি নিজেদের দখলে করে তারা।
১৪৯ রান তাড়া করতে নেমে গালফ জায়ান্টসের হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন জেমস ভিনসে ও ক্রিস লিন। ১৪ বলে ১৪ রান করে লুক উডের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান জেমস। এরপরে গ্র্যান্ডহোমও মাত্র এক রান করে আউট হন। কিন্তু ক্রিজের এক প্রান্ত ধরে থাকেন ক্রিস লিন। ৫০ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। প্রথমে ইরাসমাসের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ও পরে হেটমায়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে জয় নিশ্চিত করেন তিনি।