শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, এমপি বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ বিশে^ রোল মডেল সৃষ্টি করেছে। বিশে^র অনেক উন্নত দেশও এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে।
বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুু ভেবেছিলেন নারীদের বাদ দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তিনি নারী উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর কর্মসংস্থানসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিতা নারীদের বীরঙ্গণা উপাধি দিয়েছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা বীরঙ্গণাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৩ সালে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় বঙ্গবন্ধু নারী উন্নয়নের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং নারীদের চাকুরীতে শতকরা দশ ভাগ কোটা সংরক্ষণ করেছিলেন। জাতির জনকের পথ ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীর কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। নারীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তিনি জয়িতা ফাউন্ডেশন গঠন করেছেন।
জয়িতাদের জন্য দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক স্থাপনের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর জয়িতা অন্বেষণ নামের কর্মসূচির সুচনা করেছে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, আজ যে বিপুল সংখ্যক জয়িতাকে সম্মাননা দেয়া হচ্ছে তা এ অভিনব কর্মসূচিরই ফলশ্রুতি।
নারী উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন অবদান উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য-সেবা বিপণন ও বাজারজাত করার জন্য দেশব্যাপী নারী বান্ধব অবকাঠামো গড়ে তুলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি রাজশাহীসহ দেশের তিনটি বিভাগে জয়িতা টাওয়ার নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন উল্লেখ করে ধানমন্ডিতে ১২তলা জয়িতা টাওয়ার দ্রুতই উদ্বোধন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হাসানুজ্জামান কল্লোল (ভার্চুয়ালি), মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নরেশ চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শামসুন্নহার ও বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আক্তার রেনীসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য যে, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ৫টি ক্যাটাগরিতে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১০ জনের মধ্যে থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৫ জন শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে ২৫ হাজার টাকার চেক, সনদ, ক্রেস্ট ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়। এ বছর রাজশাহী বিভাগ থেকে যে ৫জন জয়িতাকে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে পুরস্কার প্রদান করা হয় তারা হলেন, শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী শ্রেষ্ঠ জয়িতা রাজশাহী জেলার ড. সাঈদা আঞ্জু, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী রাজশাহী জেলার মর্জিনা পারভীন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী পাবনা জেলার মোছা: কেয়া ইসলাম, সফল জননী নারী পাবনা জেলার মোছা: মনোয়ারা বেগম এবং নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছে যে নারী জয়পুরহাট জেলার মোছা: মৌসুমী আক্তার ।