শুক্রবার, ৩১শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
আত্রাই প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর আত্রাইয়ের গুড় নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনে বেপরোয়া হয়ে উটেছে একটি চক্র। তাদের এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে একদিকে হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে নদী তীরের ফসলি জমি ও বাড়ি ঘর। অপরদিকে ট্রাক্টর যোগে এসব বালু পরিবহনের ফলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ পাকা রাস্তা।
এ ব্যাপারে ইউএনও বরাবর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। জানা যায়, উপজেলার বুক চিড়ে বয়ে গেছে আত্রাই ও গুড় নদী। গুড় নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দীর্ঘ দিন থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে একটি মহল। নদী থেকে বালু উত্তোলনের সুনির্দিষ্ট সরকারী নীতিমালা থাকলেও তার প্রতি তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র থেকে ইচ্ছেমত বালু উত্তোলন করা হয়। ফলে একদিকে হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে নদী তীরের ফসলি জমি ও বাড়ি ঘর। অপরদিকে ট্রাক্টর যোগে এসব বালু পরিবহনের ফলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ পাকা রাস্তা। এদিকে নদীর তীরের ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি রক্ষায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে একাধিকবার স্থানীয়রা আবেদন করেছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। সে অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করে বালু উত্তোলন বন্ধও করেছিলেন। কিন্তু কিছুদিন পর আবারও তারা বালু উত্তোলন শুরু করেন।
সম্প্রতি উপজেলার মধুগুড়নই গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টেজ সঞ্চালিত মেইন লাইনের নীচে গড়ে তোলা হয়েছে বালুর বিশালস্তুপ। যে কোন সময় সেখানে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এদিকে বড় বড় ট্রাক্টর দিয়ে এসব বালু বিভিন্ন এলাকায় পরিবহনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামীণ জনপদের পাকা রাস্তা। তাই এ অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের দাবিতে এলাকার ৭৪ জন স্বাক্ষরিত একটি আবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দাখিল করেছে। সাহেবগঞ্জ গ্রামের নিরেনচন্দ্র মহন্ত বলেন, এসব অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে নদী তীরের ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি রক্ষা করা সম্ভব হবে না। একই ভাবে রাস্তাঘাট গুলোও টেকসই হবে না।
ফলে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনষ্ট হবে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আত্রাই জোনের এজিএম এম তাওসিন ইলিয়াস বলেন, ১১ হাজার ভোল্টেজ সঞ্চালিত লাইনের নিচে এভাবে বালুরস্তুপ গড়ে তোলা ঠিক হয়নি। আমি দেখে ব্যবস্থা নেব। আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর যাতে এখান থেকে বালু উত্তোলন করা না হয় সে ব্যাপারে ইজারাদারকে বলে দেয়া হয়েছে।
সানশাইন/টিএ