রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
বড়াইগ্রাম প্রতিনিধিঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষক বেলাল হত্যা বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার মশিন্দা গ্রামে বিলালের পরিবার এই কর্মসূচীর আয়োজন করে। ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে বেলালের পরিবারসহ গ্রামের কয়েকশ লোক অংশগ্রহন করে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত বেলালের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, ছেলে আতাউর রহমান, আনিসুর রহমান, বোন আমেনা বেগম, ভাই দুলাল মন্ডল, মোজাম্মেল মন্ডল, মোদাস্সের মন্ডল, ভাগিনা মাততাব উদ্দিন, মশিন্দা গ্রামের শহিদুল ইসলাম, মিঠু সরকার, সোহরাব হোসেন, মুজিবুর রহমান প্রমূখ। ছেলে আতাউর রহমান বলেন, সকালে আমার বাবা চা খেতে যাওয়ার সময় হত্যাকান্ডের শিকার হন। আসামীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে এসে নানা রকম হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তারা বলছে একটি হত্যা করলেও ফাঁসি দুই তিনটি হত্যা করলেও ফাঁসি। তাই আমাদের মামলা প্রত্যাহার করে নিতে হবে। না হলে আবার হত্যা করা হবে। আরেক ছেলে আনিসুর রহমান বলেন, তারা বিভিন্ন জায়গা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিচ্ছে যে তাদের ফসলের জমিতে সেচ দিতে দিচ্ছি না, গম কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বাড়ি ঘর লুটপাট করে নিচ্ছে। অথচ তাদের জমিতে পানি দিচ্ছে। তাদের আত্বীয়রা এসে বাড়ি থেকে মালামাল নিয়ে গেছে যা আমাদের কাছে লিখিত প্রমাণ আছে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার হওয়ার পর তারা গ্রাম থেকে পালিয়ে ছিল। তারা এসে জমিতে পানি দিচ্ছে। এতে কেউ কারো বাঁধা দিচ্ছে না। অথচ মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। মিঠু সরকার বলেন, তারা অভিযোগ করেছে যে সাতশত বিঘার জমিতে ফসল হতে দিচ্ছি না। অথচ তাদের ১৮ পরিবার মিলে জমি ৫০ থেকে ৬০ বিঘা থাকতে পারে। মামলা প্রধান আসামী আব্দুল খালেকের ভাতিজা মো. কামরুল হাসান বলেন, আমরা তো গ্রামেই যেতে পারছিনা। হুমকি দেওয়ার তো প্রশ্নই আসে না। আমাদের প্রভাষক লুৎফর রহামানকে মিথ্যা ভাবে আসামী করে তার বাড়ি থেকে লুটপাট করা হয়েছে। রাতের আধারে জানালা ভেঙ্গে নিয়ে গেছে। আমরা আমাদের মহিলারা দেখেও কোন প্রতিবাদ করতে পারে নাই। আমাদের ২৫টির মত শ্যালো মেশিন চুরি করে নিয়ে গেছে। আব্দুল লতিফকে সেচ দিতে গিয়ে মিঠু ও শহিদুল বাহিনীর দ্বারা মারপিটের শিকার হয়েছে।
সানশাইন/টিএ