রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
পুঠিয়া প্রতিনিধি: ত্রুটিপূর্ণ কাপড় পরিবর্তন করাকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারের এক কাপড় ব্যবসায়ীর উপড় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছে।
আহতদের বানেশ্বর ও পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে বানেশ্বর নিউ সুপার মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে বলে গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু শাহিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আহতরা হলেন, রাজু, সুজন ক্লোথ স্টোরের, সুজন (৩০), রাজু (২৮), বিসমিল্লাহ্ বস্ত্রলয়ের কাওছার (৩৫), মাসুম (৩২)। হামলার পর থেকে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রেখে ব্যবসা ধর্মঘট করছে।
ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায, বানেশ্বর নিউ সুপার মার্কেটের রাজু-সুজন ক্লথ স্টোর প্রায় দেড় মাস আগে ফেরী মাধ্যমে পাইকারি কাপড় ব্যবসায়ী বানেশ্বর গরুহাটা এলাকার রফিকের স্ত্রী লালবড়ির কাছ থেকে ভারতীয় কাপড় ক্রয় করে। কাপড় ক্রয়ের পর একটা কাপড় ত্রুটি দেখা দেয়। কিন্তু কাপড় ক্রয়ের পর ঐ পাইকারী কাপড় ব্যবসায়ী লালবড়ি কারণবসত জেলখানায় থাকায় কাপড়টি পরিবর্তন করা হয়নি। পাইকারি কাপড় ব্যবসায়ী লালবড়ি জেলখানা থেকে বের হয়ে গত রবিবার বানেশ্বর নিউ সুপার মার্কেটের রাজু সুজন ক্লথ স্টোরে যায়। এসময় দোকানদার সুজন তার ত্রুটিপূর্ণ কাপড়টি বের করে ও পরিবর্তন করতে বলে।
এসময় ঐ পাইকারী কাপড় বিক্রতা বলে এটা তোমার দোকান থেকে ইদুরে কেটেছে, এটা পরিবর্তন হবে না। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে বানেশ্বর বাজার ব্যবসায় সমিতির কাছে বিচার দেয়া হয়।
বানেশ্বর বাজার ব্যবসায় সমিতির সভাপতির জেবর আলী ও বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক দুলাল আগামী বুধবার অপসমীংশা করার দিন ধার্য করেন এবং দোকানপাট খুলে ব্যবসা করতে বলেন। বানশ্বর নিউ সুপার মার্কেটের দোকানেরা প্রতিদিনের নায় সোমবার দোকানপাট খুলে ব্যবসা করতে থাকে।
সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে ৫-৬ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে রাজু সুুজন ক্লোত স্টোরের উপরে হামলা চালায় এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলোপাথারি ভাবে মারধর করতে থাকে। এ সময় প্রতিবেশী দোকানেরা তাদের চিৎকার শুনে ছুটে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর কাপড় ব্যবসায়ী সমিতি, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সমিতি ও সেন্ডেল জুতা সমিতির একত্রিত হয়ে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক বন্ধ কর অবরোধ করার চেষ্টা করে। থানা পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত এসে তাদের অভিযোগ নেওয়া ও দ্রুত আসমী ধরার আশ্বাসে তাদের সরিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে দোকানপাট বন্ধ রেখে তাদের আন্দোলন চালাচ্ছে।
এ রিপোর্ট লেখাকালে কাপড় ব্যবসায়ী সমিতি, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী সমিতি ও সেন্ডেল-জুতা সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সদস্যদের নিয়ে জরুরি সভা এবং থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ তদন্ত ওসি আব্দুল বারী জানান, এখনো অভিযোগ পায়নি, অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।