বুধবার, ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: জেলা-উপজেলার ভূমি অফিসসহ সব দপ্তরে নজর রাখতে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন আব্দুল্লাহ। কোনো দপ্তরে দুর্নীতির কোনো খবর পেলেই তা চেপে না রেখে দুদককে জানাতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বুধবার জেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দুদক চেয়ারম্যান। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “তাদের (ডিসি) অনুরোধ জানিয়েছি, তার জেলাতে কোথাও দুর্নীতির সংবাদ পেলে তারা যেন বসে না থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান। দুর্নীতি যেন না হতে পারে, বন্ধ যেন হয়, প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা যেন হয়, এর অনুরোধ জানিয়েছি।”
দুর্নীতির খবর জানাতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতেও ডিসিদের প্রতি আহ্বান রাখেন মঈনুদ্দিন আব্দুল্লাহ। “জনগণকে জানাতে বলেছি, দুর্নীতি দমন কমিশনকে কীভাবে অভিযোগ পাঠাতে হয়। টোল ফ্রি একটি টেলিফোন ব্যবস্থা আছে ১০৬, যেন জনগণকে অবহিত করেন, সেই অনুরোধ করেছি।” জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ভূমি অফিসে দুর্নীতির অভিযোগ বেশি থাকার বিষয়টি এক সাংবাদিক তুলে ধরলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “শুধু ভূমি অফিসে না, জেলা পর্যায়ে কোথায় কোথায় দুর্নীতি হয়, সে বিষয়ে নজর রাখতে জেলা প্রশাসকদেরকে বলা হয়েছে।”
অনেক সময় ডিসিদের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, তা নিয়ে কিছু বলেছেন কি- প্রশ্নে তিনি বলেন, “দেখেন সতর্কবার্তা দেওয়ার সুযোগ তো আমার নাই। সংবিধানেই আছে, আইন হয়েছে, কমিশন গঠন করা হয়েছে। “ডিসি বলে বিষয় না, যার বিরুদ্ধে অভিযাগ পাওয়া যাবে, অভিযোগটা যদি অনুসন্ধান যোগ্য হয়, অবশ্যই অনুসন্ধান হবে। এটা তাদের জানানো আছে, পুনরায় জানানোর প্রয়োজন নাই।”
ডিসি সম্মেলনে সরকারি নানা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একমাত্র স্বাধীন সংস্থা হিসেবে দুদকের অংশগ্রহণ নিয়ে মঈনুদ্দিন আব্দুল্লাহ বলেন, “এই প্রশ্ন কীভাবে রেসপন্স করব, আমি বুঝতেছি না। সরকারের মন্ত্রীরা এসেছে, আমরাও এসেছি, আমরা আমাদের কথা বলেছি। আমাদেরকে তো কেউ নিয়ন্ত্রণ করে বলে নাই যে তুমি এ কথা বইলো। অন্য কোনো কমিশনকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, সেটা আমরা জানি না।”
সেক্ষেত্রে দুদককে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া কি সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি বেড়ে যাওয়ার বার্তা দিচ্ছে?- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলতে পারে, তারা আমাদেরকে আহ্বান জানিয়েছিল এখানে অংশ নেওয়ার জন্য, আমরা অংশ নিয়েছি।
“৬৪ জন জেলা প্রশাসক ও আটজন বিভাগীয় কমিশনারকে পেয়েছি, আমি আমার বক্তব্য বলেছি। তাদেরকে বলেছি যেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানো হয়, দুর্নীতির কোনো ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি, দুর্নীতিতে সঙ্গে রেখে দেশ উন্নয়ন সম্ভব না।”