শুক্রবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চক্ষু গবেষণা বিষয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবনে এই সভার আয়োজন করে কম্পিউটার সায়েন্স এণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা গ্রুপ ‘বাইওমি’।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। সভায় কম্পিউটার সায়েন্স এণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি সুব্রত প্রামানিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে রিসার্চ গ্রুপের অন্যতম সদস্য ড. সঙ্গিতা বিশ্বাসসহ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, চোখ দেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। চোখ ছাড়া মানুষ অচল। বিভিন্ন কারণে কিংবা বয়স বৃদ্ধির ফলে রেটিনার উপর প্রভাব পড়তে পারে। সেটা সকলের গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত। এছাড়া আমাদের গবেষকেরা রেটিনার সমস্যা অঙ্কুরেই চিহ্নিত করে তা সমাধানে কাজ করছেন, যা খুবই আশাব্যঞ্জক। খুব শীঘ্রই এই গবেষণার ভালো ফল পাওয়া যাবে বলে উপাচার্য প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এই গবেষণায় উপাচার্য সর্বাত্মক সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।
দিনব্যাপী সেমিনারে বায়োমেডিক্যাল ও বায়োমেট্রিক্স প্রক্রিয়ায় স্বয়ংক্রিয় উপায়ে চোখের রেটিনার বিভিন্ন ডাটা সংগ্রহ ও রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে অঙ্কুরেই তা নিরাময়ের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিশ্বে চক্ষু রোগীর চিকিৎসক খুবই কম। তাই রেটিনাভিত্তিক একটি বায়োমেডিক্যাল ও বায়োমেট্রিক ডাটাবেজ তৈরি সহজ হবে। যা চক্ষু চিকিৎসায় বিশ্বে যুগান্তকারী আবিষ্কার হবে বলে মনে করেন গবেষকেরা।
সভায় আলোচকগণ বলেন, এই গবেষণার লক্ষ্য হলো ডিপ লার্নিং নির্ভর স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম তৈরি করা যার দ্বারা কম খরচে বাংলাদেশের রেটিনার সমস্যাজনিত রোগিদের নির্ভুল চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভবপর হবে। রেটিনার সমস্যা যদি একদম প্রাথমিক ধাপে চিহ্নিত করা সম্ভব হয় তাহলে একজন রোগীর দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করা সহজতর হয়। কারণ, একদম প্রাথমিক ধাপে রোগগুলো নিরাময় করা অপেক্ষাকৃত বেশি সম্ভবপর। কিন্তু চক্ষু বিশেষজ্ঞগণের দ্বারা প্রত্যেক নাগরিকের নিয়মিত রেটিনা চেকআপ নিশ্চিত করা শুধুমাত্র বৃহৎ জনসংখ্যা সম্পন্ন উন্নয়নশীল দেশেই নয় স্বল্প জনসংখ্যা সম্পন্ন উন্নত দেশেও সম্ভব নয়।
এছাড়া আলোচকগণ আরও বলেন, এর প্রধান কারণ হচ্ছে সব দেশেই জনসংখ্যার অনুপাতে চক্ষু বিশেষজ্ঞগণের সংখ্যা খুবই নগন্য। আমাদের এই স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম তৈরির উদ্দেশ্য রেটিনা বিশেষজ্ঞগণকে প্রতিস্থাপন করা নয় বরং তাদের উপর অর্পিত গুরুভার লাঘব করা। এই গবেষণার মাধ্যমে একটি ঝরফব-ওহফবঢ়বহফবহঃ জবঃরহধ-ইধংবফ ইরড়সবঃৎরপ ঝুংঃবস (ঝওজইইঝ) তৈরি করা হবে। যা এই ধরনের প্রথম বায়োমেট্রিক সিস্টেম হবে। এছাড়া রেটিনা নির্ভর বায়োমেডিক্যাল এবং বায়োমেট্রিক গবেষণার জন্য একটি উন্মুক্ত (বিনামূল্যে প্রাপ্ত) গঁষঃর-ংবংংরড়হ ঈড়ষড়ৎবফ ঋঁহফঁং ওসধমব (গঈঋও) ডাটাবেজ তৈরি করা যেটি গবেষকরা ব্যবহার করতে পারবেন।