শনিবার, ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ইং, ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বং।
গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ
মাদকের রাজধানী খ্যাত রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে সহজলভ্য মাদকের বাজার। এরই মধ্যে দেশব্যাপি তকমাও রয়েছে মাদকের ঘাঁটি হিসেবে। যার প্রতিফলন দেখা যায় সারাদেশে।
হাতের নাগালে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে নিয়মিত মাদক আসে অনায়াসে। বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে দেশের আনাচে কানাচে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় যুবসমাজ এবং পরিবার গুলো। খোদ প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাও জড়িতের গল্প শোনা যায় সমাজের খোশগল্পে। বাংলাদেশ সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যহত রাখলেও কমছে না মাদকের ভয়াবহতা। স্থানীয় সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের ছত্রছায়ায় মাদক কারবারীরাও হয়েছেন নেতা,কাউন্সিলর, মেম্বার ও চেয়ারম্যান। জনপ্রতিনিধি হওয়ায় হিমসিম খেতে হয় প্রশাসনকে। একাধিক মামলা দিয়েও দমাতে পারছেন না মাদক। তবে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) কামরুল ইসলামের দাবি, তুলনামূলক ভাবে মাদকের সহজলভ্যতা কমে এসেছে। তিনি বলেন, আমি ১৬ জুন ২০২১ এ গোদাগাড়ী মডেল থানায় যোগদানের পর ৩ শত ৮৫ টি মাদক মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ৫৭০ জন। এবং তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে, ১২ কেজি ৩২৫ গ্রাম হিরোইন, ১ হাজার ৬ শত ৮৬ বোতল ফেনসিডিল, ৩ হাজার ৯ শত ৯২ পিচ ইয়াবা, ৩ হাজার ৫ শত ৪২ লিটার চোলাই মদ, ১৮ কেজি ৮ শত ১০ গ্রাম গাঁজা, এবং ৪৫টি কাঁচা গাঁজার গাছ যার ওজন ৪২ কেজি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে গোদাগাড়ী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, মাদক একটি প্রাচীন লাভজনক ব্যবসা হওয়ার কারণে সহজে নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে মাদককে নির্মূল করার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। প্রশাসনের বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তার কারণে আগের চাইতে মাদক অনেকটাই নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। দল-মত নির্বিশেষে যেই মাদকের সাথে জড়িত থাকুক না কেন তাকেই আমরা গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। কাউকে বিন্দু মাত্র ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, যতদিন পর্যন্ত না মাদক নির্মূল করা না যাবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সানশাইন/টিএ