রবিবার, ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা :
এ পৃথিবীর সকল মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ভগা।(ইন্না লিল্লাহ্…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর বুধবার(১০ জানুয়ারী) দুপুর ১২ টায় রামেক হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ইদ্রীস আলী ছিলেন বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক,ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও স্থানীয় স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি।
মরহুমের বাড়ি বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বাউশা পূর্বপাড়া গ্রাামে। তাঁর পিতার নাম ইনতাজ সরকার। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ,এক মেয়ে ও স্ত্রী সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। বুধবার বিকেলে বাঘা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। মরহুমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তাঁর মেয়ে-জামাতা ঢাকায় থাকেন এবং অনেক আত্নীয় স্বজন দুর-দুরান্তে থাকায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় বাউসা হারুনুর রশীদ স্কুল মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
এদিকে মরহুমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও চারঘাট-বাঘার সাংসদ মো: শাহরিয়ার আলম। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ভগা সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবে অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালে তিনি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ করেন। বিজয়ের পর তিনি জাতির পিতার আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং জনগনের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। ৭৫ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের দুর্দিনে বাউসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে একটানা ২০ বছরের অধীক সময় তিনি দলকে সু-সংগঠিত রেখে সুনামের সাথে দলকে পরিচালনা করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রীস আলী ভগা তৃণমূল আওয়ামীগের একজন বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিলেন। তাঁর হাত ধরে বাঘা উপজেলায় আওয়ামী লীগের অসংখ্য সৎ, নিষ্ঠাবান নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধি তৈরি হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ও সামাজিক ভাবে যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা অপূরণীয়। প্রতিমন্ত্রী মহোদয় তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
সানশাইন / শামি