সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর সদর ও মান্দা উপজেলায় নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা পৃথক দুটি মামলায় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের আট নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদের আদালতে ওই আটজন জামিনের জন্য আবেদন করেন। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক ও বিশ্বজিৎ সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নওগাঁ সদর উপজেলায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় কারাগারে পাঠানো নেতাকর্মীরা হলেন, জেলা যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জেড এইচ খান মানিক ও দেওয়ান মোস্তাকিন আহম্মেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান বাদশা।
মান্দা উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা হলেন, মান্দা উপজেলা বিএনপির সদস্য মামুনুর রশিদ, গনেশপুর ইউনিয়ন বিএনপর সাবেক সাধারণ সম্পাদক বকুল চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সামসুল ইসলাম ও গনেশপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মিঠুন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর সন্ধ্যায় নওগাঁ শহরের কেডির মোড় এলাকায় আস্তান মোল্লা কলেজের সামনে সড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ও দুটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওই মামলায় এজহারভুক্ত চার আসামি আজ দুপুরে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন। আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ২৫ নভেম্বর রাতে উপজেলার কয়াপাড়া কামারকুড়ি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অভিযান চালিয়ে মান্দা থানা পুলিশ ককটেল সহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় মান্দা থানার উপপরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মান্দা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সসংগঠনের ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা হিসেবে ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামি দুপুরে নওগাঁ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির জামিনের জন্য আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
চলতি সপ্তাহে নাশকতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা নওগাঁ সদর, মান্দা, মহাদেবপুর, পত্নীতলা ও বদলগাছী থানার মামলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের ৩০ জন নেতাকর্মী আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সবগুলো মামলা গত বছরের নভেম্বর মাসে করা হয়।