সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
জয়পুরহাট প্রতিনিধি: হাড়কাঁপানো শীতের তীব্রতায় কাঁপছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর সহ অন্যত্রও চলছে শীতের দাপট। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় কঁনকঁনে শীতে কাবু হচ্ছে প্রাণীকূল। বিশেষ করে দিনের চেয়ে রাতের তাপমাত্রা আরো কমে আসছে। এতে রাতে আরো বেশি শীত অনুভুত হচ্ছে। টানা পাঁচদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে দুপুরের পর। ফলে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পাশাপাশি কমছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও।
প্রচন্ড শীতের কারণে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, অসহায়, দিনমজুর, ভ্যান ও রিকশাচালক, শিশু বয়স্ক মানুষ। ঘন কুয়াশায় উত্তরের হিমেল হাওয়া শরীরে কাঁটা দিচ্ছে শীতার্ত মানুষের শরীরে। যতই দিন যাচ্ছে তাপমাত্রার পারদের ওঠানামা ততই যেন বেসামাল হয়ে পড়ছে।
এদিকে গত চার দিনের হিমেল হাওয়া ও ঘনকুয়াশার কারণে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাইরাস জনিত রোগ সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া। এবার শীতজনিত রোগ শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের পাশাপাশি সব বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।
গত রবিবারে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্হিবিভাগ ও জরুরী বিভাগে রোগির ভীড় লক্ষ্য করা যায়। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মানুষ যেমন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তেমনি বর্হিবিভাগেও চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অপরদিকে, শীত বাড়ায় বেড়েছে গরম কাপড় কেনাকাটার ভীড়। দোকানে বা ফুটপাত সবখানেই ক্রেতা সমাগম চোখে পড়ার মত। গত এক সপ্তাহ আগেও গরম কাপড়ের দোকানদাররা ক্রেতা শূন্যতায় ভুগেছে। কিন্তু গত চারদিন থেকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় কেনাকাটাও জমজমাট হয়ে উঠেছে। এবার প্রতিটি কাপড়ের দাম বেশি হওয়ার কারণে নিু বা মধ্যআয়ের মানুষ ফুটপাতে কেনাকাটা করছেন বেশি। তাই নিজের ও পরিবারের লোকজনদের জন্য সাধ্যমত ফুটপাত থেকে পোষাক কিনতে দেখা যাচ্ছে।
এছাড়াও শীত বাড়ায় ভোগান্তি বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। শীতের কারণে এসব লোকজন সকালে কাজে বের হতে পারছেন না। লোকজন সকালে কাজে না গিয়ে খড়কুঠো জালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে রাত ৮টার পর গ্রামের রাস্তাঘাটে থাকছে না কোনো যানবাহন ও মানুষজন।
আক্কেলপুর পৌরসভার মেয়র শহিদুল আলম চৌধুরি জানান, ‘পৌরসভার ছিন্নমূল অসহায় মানুষের জন্য যতটুকু পেয়েছি চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। হুইপ আবু সাঈদ আলমাহমুদ স্বপন এমপিকে শীতার্ত মানুষদের পাশে দাড়ানোর জন্য আহবান জানান’।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান বলেন, উপজেলায় এবার মাত্র তিন হাজার কম্বল পেয়েছি যা চাহিদার তুলনায় অতি সামান্য।
এনজিও, ব্যাংক অনান্য কোন সংস্থার এখনো কম্বল পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপির নিকট শীতার্ত মানুষদের কম্বলের জন্য আবেদন করেছি।