বুধবার, ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: ঢাকার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অসাধারণ অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে স্থায়ী অংশীদারিত্বের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ করতে চাই। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে কাজ করবে মার্কিন প্রশাসন।’
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের পরিচয়পত্র গ্রহণকালে লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন জো বাইডেন। দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র পেশ করার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রদূত ইমরান।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে জো বাইডেন বলেন, ‘আমার প্রশাসন দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে আপনার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। কারণ, আমরা আগামীর সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবো। ওয়াশিংটনে আপনাকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি আনন্দিত।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার লিখিত মন্তব্যে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ‘একটি অসাধারণ গল্প’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবিক, উদ্বাস্তু, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা এবং সন্ত্রাস দমন, সামুদ্রিক ও অন্যান্য নিরাপত্তা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’
জো বাইডেন বলেন, ‘বাংলাদেশ তার বৃহত্তর কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তিতে প্রসারিত করেছে, যা বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে একটি প্রধান অংশগ্রহণকারী হতে প্রস্তুত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, আমাদের দেশগুলি গণতান্ত্রিক শাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, শরণার্থী ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবে। আমরা বাংলাদেশের সাফল্যে বিনিয়োগ করছি এবং সব বাংলাদেশিকে স্বাধীনভাবে অংশগ্রহণ ও তাদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার ক্ষমতাকে সমর্থন করি।’
প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তারা এই উদ্বাস্তুদের সহায়তা ও তাদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। যুক্তরাষ্ট্র এই মানবিক সংকটের টেকসই ও স্থায়ী সমাধান খুঁজতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
করোনা মহামারির বিষয়ে জো বাইডেন বলেন, ‘কোভিড-১৯ গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। আমরা সামনের মাস ও বছরগুলোতে আমাদের ক্রমবর্ধমান অংশীদারিত্ব প্রসারিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’