সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীকে শিক্ষা নগরী হিসেবে সরকারি ঘোষণা এখন সময়ের দাবি। এখানকার সমৃদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে রাজশাহীকে বলা হয় শিক্ষা নগরী। রাজশাহীর প্রাচীন ঐতিহ্যের সঙ্গে শিক্ষার ব্যাপারটি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।
তবে এই বিশেষণ শুধু নামেই নয়, বাস্তবিক অর্থেও অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে রাজশাহীকে একটি কার্যকর শিক্ষা নগরী হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলে হোসেন বাদশা। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি জানালেন, সাংসদ হওয়ার আগে তার দেখা এই স্বপ্ন এখন অনেকটাই বাস্তবায়িত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর দারুস সালাম কামিল মাদ্রাসার নবনির্মিত ছয় তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন শেষে এমপি বাদশা এসব কথা বলেন। মাদ্রাসা কর্তৃক আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাদশা বলেন, নতুন বাজেট আসার আগেই রাজশাহীর সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উন্নয়নের আলোয় আলোকিত হবে। আমি খুঁজে খুঁজে শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে উন্নয়ন করেছি। কাউকে বঞ্চিত করেনি। আমার জানা মতে, এর আগে কোন সংসদ সদস্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য এতোটা ভাবেনি। শিক্ষার উন্নয়নে যে জ্ঞান অর্জন হবে, তা অবশ্যই রাজশাহীর মানুষের কাজে লাগবে। আজকে সবাই মিলে মাদ্রাসার একটি চমৎকার ভবন উদ্বোধন করলাম। এটি শুধুমাত্র উন্নয়ন নয়, একটি সুশিক্ষিত সমাজ গড়তে সকলের ঐক্যবদ্ধ যোগদান।
শিক্ষার মান উন্নয়নে শিককদের আরো কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ছাত্রদের শুধু পাশ করার জন্য পাঠদান দিলেই হবে না। তাদের জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হবে। কারণ তারা যদি শুধুমাত্র সার্টিফিকেট অর্জন করার জন্য লেখাপড়া করে; তবে সেটির কোন মূল্য থাকে না। এখানে শিক্ষকদের অনেক বড় দায়িত্ব রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করলাম, আশা করি শিক্ষার মান উন্নয়ন করে শিক্ষকেরাও তাদের গুরু দায়িত্ব পালন করবেন।
শিক্ষার ক্ষেত্রে আগামীতে রাজশাহীর সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে টানা তিনবারের এই সংসদ সদস্য বলেন, রাজশাহীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যেভাবে উন্নত হয়েছে; আমাদের শহরের ছেলে-মেয়েরা যদি প্রতিভাবান হয়, সুশিক্ষিত হতে পারে- তবে আগামী ১০ বছরের মধ্যে রাজশাহী শহর ঢাকার চেয়েও একটি উন্নত জায়গায় পরিনত হবে বলে বিশ্বাস করি। রাজশাহী শহর জ্ঞান চর্চার অন্যতম স্থান হিসেবে বিবেচিত হবে।
দারুস সালাম কামিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোরশেদ হাসান চুন্নার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মাওলানা এইচএম শহীদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিচালনা কমিটির সদস্য আব্দুল মতিন, আইনজীবী এলেন সিরাজী, মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আলহাজ্ব আবুল হাসানাত, পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি নুরুল হক, প্রকৌশলী আমীর আলী দেওয়ান প্রমুখ।