সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: আগের দিনের ইনিংসকে আরেকটু টেনে নিলেন টম ল্যাথাম। সেঞ্চুরির সম্ভাবনাকে রূপ দিলেন বাস্তবে। এরপর ব্যাট হাতে ধৈর্যের প্রতিমূর্তি হয়ে টিকে রইলেন কেন উইলিয়ামসন। তিনিও পেলেন তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া। তাদের দৃঢ়তায় পাকিস্তানের বিশাল রান টপকে লিড নিল নিউ জিল্যান্ড।
করাচিতে ৬ উইকেটে ৪৪০ রান করে প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ করেছে কিউইরা। প্রথম ইনিংসে ৪৩৮ রান করা স্বাগতিকদের চেয়ে এগিয়ে আছে তারা ২ রানে। ৭৮ রান নিয়ে বুধবার দিন শুরু করা ল্যাথাম খেলেন ১০ চারে ১১৩ রানের ইনিংস। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি করতে পারেননি ডেভন কনওয়ে। আগের দিনের ৮২ রানের সঙ্গে আর কেবল ১০ রান যোগ করেই ফেরেন তিনি।
তিনে নেমে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন উইলিয়ামসন। ২২২ বল স্থায়ী ইনিংসে ১১ চারে ১০৫ রানে খেলছেন তিনি। ড্যারিল মিচেল ও টম ব্লান্ডেল ফিরেছেন ফিফটির কাছে গিয়ে। স্পিনাররা পাচ্ছিলেন টার্ন, বাউন্স ছিল অসমান। এমন পিচে বিনা উইকেটে ১৬৫ রান নিয়ে খেলতে নামা নিউ জিল্যান্ড শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন বাঁহাতি স্পিনার নুমান আলি। এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ১৪ চারে ৯২ রান করা কনওয়ে। ভাঙে ১৮৩ রানের উদ্বোধনী জুটি।
‘ভাইরাল ফ্লু’ এর কারণে এদিন শুরুতে মাঠে নামেননি পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম, শান মাসুদ ও আঘা সালমান। প্রথমে বদলি হিসেবে নামা মোহাম্মদ রিজাওয়ান পালন করছিলেন অধিনায়কত্ব। কিন্তু আইসিসি নিয়মে বদলি ক্রিকেটারদের নেতৃত্ব দেওয়ার অনুমতি না থাকায় পরে সরফরাজ আহমেদ নেন দায়িত্ব। এই কিপার-ব্যাটসম্যানই রিভিউ নিয়ে ফেরান কনওয়েকে। দ্বিতীয় সেশনে মাঠে ফেরেন বাবর।
১৬১ বলে ক্যারিয়ারের ত্রয়োদশ টেস্ট সেঞ্চুরি করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ল্যাথাম। কিন্তু তাকে বেশিদূর যেতে দেননি আবরার আহমেদ। এই লেগ স্পিনারের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ল্যাথাম। হেনরি নিকোলসকে নিয়ে প্রথম সেশন পার করে দেন উইলিয়ামসন। লাঞ্চ বিরতির পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নিকোলস। নুমানের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাটের কানায় লেগে হন বোল্ড।
উইকেটে নেমে চার দিয়ে রানের খাতা খোলেন ড্যারিল মিচেল। দ্রুত রান বাড়াতে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে থামান আবরার। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ধরা পড়েন কিপারের গ্লাভসে। করেন ১ ছক্কা ও ৭ চারে ৪৭ বলে ৪২ রান। মিচেলের পর টম ব্লান্ডেলকে নিয়ে আরেকটি পঞ্চাশোর্ধ জুটি গড়েন উইলিয়ামসন। একটা সময় মনে হচ্ছিল অবিচ্ছিন্ন থেকেই দিন শেষ করে দেবেন তারা। কিন্তু তাদের ৯০ রানের জুটি ভেঙে দেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।
১ ছক্কা ও ৩ চারে ৪৭ রানে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ওয়াসিমের ওই ওভারেই ৪৫ রানে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান ব্লান্ডেল। এলবিডব্লিউর বিপক্ষে রিভিউ নিলে টিকে যেতেন তিনি। রিপ্লেতে দেখা যায় তার ব্যাটে হালকা স্পর্শ করেছিল বল।
ব্লান্ডেলের বিদায়ের এক ওভার পর ২০৬ বলে ক্যারিয়ারের ২৫তম সেঞ্চুরিতে পা রাখেন উইলিয়ামসন। তার সবশেষ সেঞ্চুরিও পাকিস্তানের বিপক্ষে, ২০২১ সালে ক্রাইস্টচার্চে খেলেছিলেন ২৩৮ রানের ইনিংস। শেষ দিকে আরেকটি উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড। আবরারের বলে মিড-অফে ধরা পড়েন মাইকেল ব্রেসওয়েল। ইশ সোধিকে নিয়ে দিনের বাকিরা সময় নিরাপদেই কাটিয়ে দেন উইলিয়ামসন।