মঙ্গলবার, ৩০শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: পেসারদের আগ্রাসী মনোভাব পারফরম্যান্সে বাড়তি কিছু যোগ করে। ভালো খেলতে থাকা ব্যাটারদের মনোযোগ বিঘ্ন করতে স্লেজিং ক্রিকেটীয় আইনে অনুমোদিতই। শুধু পেসাররাই নন, ফিল্ডারদেরও নানা সময়ে স্লেজিং করতে দেখা যায়। চট্টগ্রামে টেস্টের ১৪তম ওভারে ভারতীয় পেসার সিরাজ ঘটালেন এমন একটি ঘটনা।
৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়া দলটাকে টেনে তোলার দায়িত্ব পড়ে লিটন দাস ও অভিষিক্ত জাকির হাসানের কাঁধে। কিন্তু ৩২ রানের জুটি গড়ে চার বিরতিতে যাওয়া লিটন ফিরেই ভুল করে বসলেন। আরও ২ রান যোগ হতেই সিরাজের ‘ফাঁদে’ পা দিয়ে বসেন।
দশম ওভারে উমেশ যাদবকে পর পর তিনটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন লিটন। টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেললেও লিটনের খেলা শটগুলোকে ‘লেটার মার্ক’ দিতেই হবে। ২৬ বলে ৫ চারে ২৪ রান করে চা বিরতিতে যান লিটন। চা বিরতি থেকে ফিরে ভারতের পেসার সিরাজের সঙ্গে কথার লড়াই হয় লিটনের। মনোযোগ নাড়িয়ে দিতেই বোধহয় সিরাজ কৌশলী হয়েছিলেন। বিরতির পর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলটিতে লিটন পরাস্তও হয়েছিলেন। তখন তার দিকে এগিয়ে গিয়ে কিছু একটা বলতে দেখা যায় সিরাজকে। লিটনও এগিয়ে গিয়ে বাক্যবিনিময় করেছেন।
ঠিক তার পরের বলটিতেই সিরাজ সাফল্য পেয়েছেন। লিটন ব্যাট চালিয়েছিলেন বলের লাইনেই। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী বল না উঠায় বলটি ব্যাটের ফাঁক গলিয়ে সোজা আঘাত হানে স্ট্যাম্পে। এমন ফাঁদে ফেলে লিটনকে আউট করে সিরাজের উচ্ছ্বাসটাও দেখার মতো ছিল।
লিটনের সঙ্গে কী হয়েছিলো সেটি সংবাদ সম্মেলনে খোলাসা করেছেন সিরাজ। ৩০ বলে ৫ চারে ২৪ রান করা লিটনকে স্লেজিং করে সিরাজ বলছিলেন, ‘না তেমন কিছু না। আমি তাকে শুধু বলেছিলাম, এটা টি-টোয়েন্টি সংস্করণ নয়, এটা টেস্ট ক্রিকেট। সেন্সিবল ক্রিকেট খেলো।’ লিটনের ওই আউটের পরই খেই হারায় বাংলাদেশ। মুশফিক কিছুটা চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত বড় স্কোর গড়ার পথটা ভেঙে যায়। যদিও শেষ উইকেটে মিরাজ-এবাদতের দৃঢ়তায় বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ১৩৩ রান তুলে দিন শেষ করেছে।