শনিবার, ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক : আজ ১০ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিন রাজধানী ঢাকা ছাড়া দেশের বেশিরভাগ জেলা শত্রুমুক্ত হয়ে যায়। ঢাকায় চূড়ান্ত হামলা চালিয়ে শত্রুদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করার লক্ষ্যে এগিয়ে যায় যৌথ বাহিনী। ঢাকায় চলছে কারফিউ আর ব্ল্যাক আউট। এদিকে, মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় রেডিও ঢাকা কেন্দ্র স্তব্ধ হয়ে যায়। বোমা-রকেট ছুঁড়ে বিধ্বস্ত করে দেওয়া হয় ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দর।
একাত্তরের এদিন ময়মনসিংহের দামাল ছেলেরা নিজ জেলাকে মুক্ত করেন। একই দিনে পাকবাহিনীকে পর্যুদস্ত করে মাদারীপুর, ভোলা ও নড়াইলকে শত্রুমুক্ত করা হয়। এ প্রসঙ্গে কথা হয় ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব আলীর সঙ্গে। বর্তমানে লংগাইর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তিনি।
একাত্তরের এ দিনের স্মৃতি হাতরে মুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর রাতে পাক বাহিনী স্পেশাল ট্রেন নিয়ে গফরগাঁও থেকে পালিয়ে যায়। তারা রাজাকারদের রেখে চলে যায়। ৯ ডিসেম্বর গফরগাঁও মুক্ত হয়। ১০ ডিসেম্বর আমরা ছিলাম দত্তেরবাজার ক্যাম্পে। ৪৫০ জন রাজাকারকে সেখানে জড়ো করা হয়। সেদিন ভোর থেকে আমরা রাজকার নিয়ে ব্যস্ত।’
ইতিহাসের তথ্য বলছে, একাত্তরের এ দিন দিবাগত রাতে দৈনিক ইত্তেফাকের বিশিষ্ট সাংবাদিক সিরাজুদ্দিন হোসেন, পিপিআই সংবাদ সংস্থার প্রধান সংবাদদাতা নিজামউদ্দিন সৈয়দ নাজমুল হককে আলবদর-আলশামস বাহিনীর খুনিরা তাদের নিজ নিজ বাসভবন থেকে অপহরণ করে। এরপর এ তিন জনকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।