মঙ্গলবার, ১৮ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁয় পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে চাকরির আবেদনে ঠিকানা গোপন করে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে একজনের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ তুলে ৪ ডিসেম্বর নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও নওগাঁ পরিবার কল্যাণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই পদে চাকরি প্রত্যাশী ফারহানা নাজনীন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ৮ নম্বর হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে পরিবার কল্যাণ সহকারীর শূন্য পদে জলি চৌধুরী নামের একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ জলি চৌধুরী উল্লিখিত ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা নন। তার পরিবার ২০ বছর ধরে নওগাঁ শহরের ইঁদুর বটতলী এলাকায় বসবাস করে আসছেন এবং তার স্বামীর বাড়ি মহাদেবপুরে। তার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তিনি নওগাঁ পৌরসভার ইঁদুর বটতলী এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের অধীন নওগাঁ জেলার ১১টি উপজেলায় পরিবার কল্যাণ সহকারী, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক ও আয়া পদে ২৮ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব পদে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবং ওইদিনই সকল পদে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত শর্তাবলী অনুযায়ী পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। ভুল ও অসত্য তথ্য প্রদানের জন্য এই নিয়োগ বাতিল করে ওই পদে চাকরি প্রত্যাশী আরও চারজন প্রার্থীর মধ্যে মেধা যাচাই করে যে কাউকে নিয়োগ প্রদানের আবেদন জানানো হয়।
অভিযোগকারী ফারহানা নাজনীন বলেন, নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা যাতে সঠিকভাবে সেবা পান সেজন্য ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাকেই পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়ার বিধি রয়েছে। অথচ আমাদের ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা না হওয়া সত্ত্বেও একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটা কিভাবে হলো তা বোধগম্য নয়। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে তথ্যগুলো যাচাইপূর্বক এ নিয়োগ বাতিল করে যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
অভিযুক্ত জলি চৌধুরী কাছে বলেন, নিয়োগপত্রে যে ঠিকানা ব্যবহার করেছি সেখানে আমার পিতার পরিচয় দিয়েছি। যখন নিয়োগের জন্য অবেদন করেছি সে সময় আমি অবিবাহিত ছিলাম। ফলে পিতার ঠিকানা ব্যবহার করেছি।
নওগাঁ পরিবার কল্যাণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য আত্রাই উপজেলা পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে তার পরিপ্রেক্ষিতে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, অন্য এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আরেক এলাকায় পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগ পাওয়া কথা নয়। এ বিধিবর্হিভূত কিছু ঘটে থাকলে তথ্য যাচাই করে এ ধরনের নিয়োগ বাতিল করে হবে। বিষয়টি তদন্তের জন্য নওগাঁর পরিবার কল্যাণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।