রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যেভাবে শুরু হয়েছিল আর যেভাবে শেষটা হলো তাতে ভড়কে যাওয়াই স্বাভাবিক। বাংলাদেশের ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারানো। তার পর মেহেদী হাসান মিরাজের অতিমানবীয় সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ২৭১ রান! ভারতের অবস্থাও শোচনীয় ছিল জবাবে। ৬৫ রানে পড়ে ৪ উইকেট! সেখান থেকে শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেলের ১০৭ রানের জুটি ভাঙলে ম্যাচ হেলে যায় বাংলাদেশের দিকে। তখনও বোঝা যায়নি চোট আক্রান্ত রোহিত শর্মা শেষটায় কতটা রোমাঞ্চ জমিয়ে রেখেছিলেন। হঠাৎ ক্রিজে নেমে বাংলাদেশের জয়ের পথে বাধা হতে চেয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু মিরাজের দারুণ ব্যাটিংয়ের পর শেষের ঝলকটা দেখালেন মোস্তাফিজ। তার দুর্দান্ত বোলিংয়েই ভারতীয় অধিনায়ক শেষ বলে আর ৬ রান নিতে পারলেন না। তাতে বাংলাদেশ ৫ রানে জিতে ওয়ানডে সিরিজ এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে।
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ তিন ওভারে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪০ রান। আর সেই কঠিন সময়েই ১৮তম ওভারে মোস্তাফিজ একটি রানও নিতে দেননি। শেষ ১২ বলে লক্ষ্য থাকে একই। তবে মাহমুদউল্লাহর প্রথম বলে ছক্কা মেরে ব্যবধান কমাতে সমর্থ হন রোহিত। পরের বলে আসে অতিরিক্ত চার রান। তিন নম্বর বলে রোহিতকে জীবন দেওয়ার বিলাসিতাও করেন এবাদত। জীবন পেয়ে পরের বলে আবারও ছক্কা মেরে রোহিত ম্যাচ বাঁচিয়ে রাখেন। ভাগ্যও তখন সহায় ছিল তার। পঞ্চম বলে আবারও ক্যাচ উঠলে এবার সেটি হাতছাড়া করেন এনামুল। শেষ বলে সিরাজকে ক্লিন বোল্ড করেন মাহমুদউল্লাহ। ততক্ষণে শেষ ওভারে নতুন লক্ষ্য দাঁড়িয়ে গেছে ২০। তার পরেও মোস্তাফিজের ওভারে ভয় ধরিয়ে দেন রোহিত। দুটি চার ও একটি ছক্কা মেরে জয়ের প্রায় কাছে চলে এলেও শেষটায় ইয়র্কার মেরে সব সম্ভাবনার ইতি ঘটান মোস্তাফিজ।