শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: আগের ম্যাচে বীরত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ১ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ভারতের বিপক্ষে তিন দিন বাদে আবারও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তার ব্যাট হাসলো। দারুণ সঙ্গ পেলেন মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে।
অথচ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। ৬৯ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। তারপর মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গ দিতে নামেন মিরাজ। বাংলাদেশকে আড়াইশর উপর স্কোরে তার অবদান অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস। এটাই তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ইনিংসের শেষ বলে শার্দুল ঠাকুরকে মিড অন দিয়ে মেরে এক রান নিয়ে ৮৩ বলে শতকে পৌঁছান। আয়ারল্যান্ডের সিমি সিংয়ের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হয়ে আট বা তার নিচের পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সেঞ্চুরি করলেন মিরাজ।
৮৩ বলে ৮ চার ও ৪ ছয়ে ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ। সপ্তম উইকেটে ১৪৮ রানের জুটি গড়তে মাহমুদউল্লাহ খেলেন ৭৭ রানের ইনিংস। ৯৬ বলে ৭ চার হাঁকান অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। শেষ পাঁচ ওভারে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৬৮ রান। এক্ষেত্রে ১১ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ১৮ রানে অবদান রাখেন নাসুম আহমেদ।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়াশিংটন সুন্দরের স্পিন এবং উমরান মালিক ও মোহাম্মদ সিরাজের পেসে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ২০তম ওভারে সত্তরে না পৌঁছাতেই নেই অর্ধেকের বেশি ব্যাটসম্যান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে এনামুল হক বিজয় এলবিডব্লিউ হন ১১ রান করে। অধিনায়ক লিটন দাস ৭ রানে ভারতীয় পেসারের কাছে বোল্ড। পঞ্চাশ পেরোনোর পর নাজমুল হোসেন শান্তকে (২১) উমরান মালিক মাঠছাড়া করেন।
নিজের টানা দুই ওভারে সাকিব আল হাসান (৮), মুশফিকুর রহিম (১২) ও আফিফ হোসেনকে (০) প্যাভিলিয়নে ফেরান ওয়াশিংটন। একশ করাই যেন দুষ্কর হয়ে পড়ছিল বাংলাদেশের। মাহমুদউল্লাহর নামের পাশে মাত্র ২ রান। নতুন ব্যাটসম্যান মিরাজ নেমেই পাল্টে দেন ম্যাচের দৃশ্যপট। ১৬৫ বলের এই জুটি বাংলাদেশকে এনে দেয় স্বস্তি।
মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি করতে ব্যর্থ হলেও মিরাজ খেলেছেন বুঝেশুনে। শেষ ওভারের আগে ৮৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। বাকি ১৫ রান করে ফেলেন শার্দুল ঠাকুরের ওভার থেকে দুটি ছয় মেরে। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে একশতে পৌঁছান তিনি। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ওয়াশিংটন। দুটি করে পান সিরাজ ও উমরান।