বৃহস্পতিবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
রাবি প্রতিনিধি : ‘পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস, সুস্থ-সুন্দর জীবন’ প্রতিপাদ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের সামনে মাসব্যাপী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম।
কর্মসূচির প্রথমদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন, গ্রন্থাগার চত্বর, বিভিন্ন একাডেমিক ভবনসমূহ ছাড়াও আবাসিক হল এলাকার রাস্তায় পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা হয়। এসময় ক্যাম্পাসের যত্রতত্র পড়ে থাকা কাগজ, চিপস-চকলেট ও খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি কুড়িয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচির উদ্বোধনী পর্বে রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এই ক্যাম্পাস আমাদের সবার। আমরা ময়লা-আবর্জনাগুলো যত্রতত্র না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলবো। সেজন্য আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে। খাবারের প্যাকেট ও অন্যান্য বর্জ্য কেউ যেখানে সেখানে ফেললে আমরা তখনই তার প্রতিবাদ করবো। আমরা ক্যাম্পাসে ডাস্টবিন সংখ্যা বাড়িয়ে দিবো।
ক্যাম্পাসের ভিতরে থাকা দোকানদারদের সতর্ক করে উপ-উপাচার্য বলেন, দোকানের আশেপাশে প্লাস্টিক, পলিথিন প্যাকেট ও ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ অভিযানের কার্যক্রম চলমান থাকবে। ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। তাই এ অভিযান সবসময়ের জন্য চালু রাখতে হবে। এসময় সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, ধর্মেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি সদস্যের দায়িত্ব এ ক্যাম্পাসকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখা। ক্যাম্পাস পরিষ্কার থাকলে আমরাও সুস্থ থাকবো, সুন্দর থাকবো। একই সাথে ক্যাম্পাসে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন হতেও তিনি আহ্বান জানান।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক (অব.) অবাইদুর রহমান প্রামাণিক, রেজিস্টার অধ্যাপক আব্দুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, বিভিন্ন অনুষদের অধিকর্তা, ইনস্টিটিউট পরিচালক, হল প্রাধ্যক্ষ, সহকারী প্রক্টরদ্বয়, বিভাগীয় সভাপতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, রাজশাহী সেলের প্রায় ১০০ স্বেচ্ছাসেবক উপস্থিত ছিলেন।