বুধবার, ১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরীতে জোরপূর্বক জমি দখল, ভাংচুর, লুটপাটের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত থেকে রায় পাওয়ার পর ঢোল পিটিয়ে জমি বুঝিয়ে দিলেও প্রতিপক্ষ দখল নিতে একের পর এক হামলা ও লুটপাট করছে। এমনকি প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। শনিবার দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবার নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জমির মালিক হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, গত ২২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১০ টার দিকে মহানগরীর ১০ নং ওয়ার্ড হেতেমখাঁয় (ছোট মসজিদের পশ্চিমে) অবস্থিত সাত তলা ভবন জবরদখল নিতে বাড়িতে জোরপুর্বক প্রবেশ করে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। এই জমি ও বাড়িটি সর্বোচ্চ আদালতের রায় পাওয়ার পর ৩ আগষ্ট সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজশাহী জেলা যুগ্মজজ আদালত ঢোল পিটিয়ে এলাকাবাসির উপস্থিতিতে জমিসহ ভবন বুঝিয়ে দেন মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন কবির ওরফে মিজান সহ ওয়ারিসগণকে।
এরপর থেকে মিজান ও তার ভাগিদার ভোগদখলে থেকে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কিন্তু ‘চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী’ স্থানীয় প্রভাবশলী সৈয়দ আহমেদ জাকি ওরফে স্বজলের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হুমায়ুন কবির ওরফে মিজানকে উচ্ছেদ করতে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাড়িতে অতির্কিত হামলা চালিয়ে লুটপাট, ভাংচুর করা হয়। এসময় মিজানকে স্বজলের ভাই মামুন, রাজন, একই এলাকার নজরুলের ছেলে রাজ্জাক আহমেদ রাজল, সনি, জাহিদ লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠি-সোঠা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনাস্থলে মিজান জ্ঞান হারালে তাকে বাঁচাতে আসে তার ভাতিজা রায়হান জ্যাকি (৩৪)। তাকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে স্বজলের সমর্থকরা। তাদের বাঁচাতে আরও কয়েকজন ঘটনাস্থলে আসলে তাদেরকেও মারধর করে সন্ত্রাসী বাহিনী স্বজলের লোকজন। এঘটনায় মিজান পক্ষের ৫ জনকে আহত করে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রায় ৬০ বছর পুর্বে হেতেমখাঁ এলাকার এ কে শহিদুল্লাহর কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছেন মিজানের পিতা আফাজ উদ্দিন। যার সিএস খতিয়ান নং ২৪০ এবং দাগ নং ৪৭৯, ৪৮০, ৪৮১, ৪৮২। আরএস খতিয়ান নং ১৪১৫ এবং দাগ নং ২৩৭১, ২৩৭২, ২৩৭৩, ২৩৭৪। বর্তমানে ওই জমি নিয়ে বিভিন্ন আদালতে ৪ টা সিভিল মামলা ও ৫টা ফৌজদারি মামলা চলমান রয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ পলিটেকনিক (বিপিআই) নামে প্রতিষ্ঠানের প্রতিপক্ষরা একের পর এক ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে আদালতে দাখিল করে নাটকীয়তার জন্ম দিচ্ছে।
তিনি দাবি করেন, বর্তমানে স্বজল ও তার ভাড়াটে সন্ত্রসী ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং প্রতিপক্ষের বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও উদ্ভট পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করে সামাজিক মর্যাদা রক্ষায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীসহ রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সুদৃষ্টি কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন, পারভেজ চৌধুরী পরশ, জাহিদুল কবির চৌধুরী, আইনজীবী এ্যাড. আনোয়ারুল ইসলামসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।