রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: দেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনে বিমান বাহিনীর নবীন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে যশোর বিমান বাহিনী একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “অনেক দেশে যখন দুর্ঘটনা দুর্বিপাক হয়, আমরা কিন্তু তাদের সহযোগিতা করি। আবার আমাদের দেশে যখন ঝড়-বন্যা বা কোনোরকম দুর্ঘটনা ঘটে বিমান বাহিনীর সদস্য বা সশস্ত্র বাহিনীর সকল সদস্যরা জনগণের পাশে দাঁড়ায়, জনগণের সেবা করে।
“এটাই হচ্ছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে, জনগণের আস্থা বিশ্বাস। যেকোন একটা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য এটা একান্তভাবে দরকার।” এদিন ‘বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমির রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ (শীতকালীন) ২০২২’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে পাসিং আউট কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “দেশ এবং দেশমাতৃকার প্রতি এবং দেশের জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। যেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তার ভাষণেও বলেছেন যে, দেশ ও দেশের জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ এটাই হচ্ছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। “কাজেই আমি আশা করি, আমাদের নবীন যারা আজকে থেকে নতুন কর্মস্থলে যোগ দেবে তাদের জন্য এই কথাটা অনেক প্রযোজ্য।”
সকলের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের নীতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “তারপরও দক্ষতার দিক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের সবধরনের উৎকর্ষতা বজায় রেখে চলতে হবে এবং সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে।” বিমান বাহিনীর সদস্যদের কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, নবীন কর্মকর্তাদের জীবন সুন্দর ও সফল হোক। আমরা বাংলাদেশ যেন আমাদের ক্যাডেটদের নিয়ে গর্ব করতে পারে।
বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে চলতে হয়। সেজন্য প্রশিক্ষণের কথা সবসময় মনে রাখতে হবে। প্রশিক্ষণের উপর সবসময় গুরুত্ব দিতে হবে। প্রশিক্ষণ উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করে এই কথাটা সব সময় মনে রাখতে হবে।”
মহামারী আর যুদ্ধে বিশ্ব পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা অনেক কাজ করে যাচ্ছিলাম। তবে কোভিড-১৯ এবং ইউক্রেন যুদ্ধ স্যাংশান, যার কারণে সারা বিশ্বব্যাপী মন্দা দেখা দিয়েছে। তবে এই মন্দা থেকে যেন আমরা উত্তোরণ ঘটাতে পারি সেই বিষয়েও আমরা যথেষ্ট সজাগ এবং আমাদের অর্থনীতি এখনো গতিশীল আছে, নিরাপদ আছে, সেইটুকু অন্তত আমি বলতে পারি।”